৩৮ জেলায় চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝরেছে স্বস্তির বৃষ্টি। তবে তীব্র গরমের দাপট এখনো বিদ্যমান। সেই সঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছাড়িয়েছে ৩৮ ডিগ্রির ঘর। এই অবস্থায় আগামীকাল সোমবার থেকে টানা ৩ দিন (৭২ ঘণ্টা) দেশের ৮ বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
শনিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অতি ভারি বর্ষণের কারণে পার্বত্য জেলাগুলোর কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে সোমবার (১৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (৮৮ মিঃমিঃ/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও ভারি বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা  তৈরি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কামাল মলি­ক জানান, আগামীকাল থেকে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। ১৬ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে বিদ্যমান উচ্চ তাপমাত্রা বা মৃদু তাপপ্রবাহ অনেকটাই কমে আসবে এবং আবহাওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হবে।
তবে, এই ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতও থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের জন্য পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি করেছে। ড. মলি­ক বলেন, “ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির মতো পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা আছে।”
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল-মের পরিবর্তে এবার জুন মাস উষ্ণতম মাসে পরিণত হয়েছে।
গত সাতদিন ধরে দেশজুড়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে, যা বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাতাসের কম গতিবেগ, জলীয় বাষ্পের উচ্চ পরিমাণ এবং মৌসুমি লঘুচাপের কারণে আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন রূপ নিয়েছে। শুক্রবার থেকে রোদের তীব্রতা কিছুটা কমতে শুরু করলেও, শনিবার রাজধানীসহ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও গরমের তীব্রতা সেভাবে কমেনি।