অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলি গ্রামের প্রবাসী মোঃ হাসান (৩০) কে শনিবার রাতে একটি ঘেরের পাড়ে ডেকে নিয়ে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করেছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মাছের ঘেরের পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি নাউলি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছোট ছেলে। কুয়েতে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তিনি কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ এলাকা থেকে চারজনকে আটক করেছে। অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
হাসানের বড় ভাই অভয়নগর থানা বিএনপি’র সদস্য এস এম মুন্না শেখ বলেন ২০১৮ সালে কুয়েতে চলে যায় হাসান। সেখানে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করত। দীর্ঘ ৭ বছর পর বাড়ি ফিরে বিয়েও করেছে। ৬ মাস ছুটির ৪ মাস শেষ হয়েছে। ২ মাস পর কুয়েতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। ঘটনার দিন শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আড্ডা দিয়েছে হাসান। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। রোববার সকালে জানতে পারি ভাইকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তার মরদেহ মাছের ঘেরের পাড়ে পড়ে আছে। ওর তো কোনো শত্র“ ছিল না, অথচ গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তিনি বলেন আমার ভাই সহজ সরল এবং ভালো মানুষ ছিল। সে সবার সাথে সুন্দর ভাবে মিশতো। কিছুদিন যাবত এসে বাড়ির আশপাশের কয়েকজন বন্ধুর সাথে আড্ডা দিত। তার তেমন কোন শত্র“ ছিল না। তবে অর্থনৈতিক লেনদেন থাকতে পারে। যে কারণে তাকে হত্যা করতে পারে। তিনি জানান কয়েকদিন ধরে কিছু লোকের সাথে মেলামেশা করছে, তারা কেউ ভালো লোক ছিল না। 
অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, শনিবার রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। হত্যার কারণ ও জড়িতদের শনাক্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলীম জানান নাউলি এলাকায় একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও ডিবিসহ টিম কাজ করছে। লাশ সুরতহাল করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হেেছ। বিস্তারিত পরে জানা হবে।