খুলনা | মঙ্গলবার | ০১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

তালায় গৃহবধূ শিমুকে শ্বশুর-শাশুড়ী-ননদের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি |
১১:২৪ পি.এম | ১৬ জুন ২০২৫


তালার উত্তর বারাত গ্রামের গৃহবধূ গ্রাম ডাক্তার ফরিদা আক্তার শিমু শ্বশুর-শাশুড়ী-ননদের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের বিচারের দাবিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। 
জানা যায়, ২০২০ সালে চুকনগর গ্রামের মৃত মতলেব সরদারের বড় কন্যা ফরিদা আক্তার শিমু সাথে তালার বারাত গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে হারুন অর রশিদের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পার হতেই গ্রাম ডাক্তার শিমুর শ্বশুর-শাশুড়ী জমি রাখার কথা বলে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। তাদের কথা মতো শিমু ৮০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেই টাকা দিয়ে আনন্দ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি বন্ধক রাখেন তার শ্বশুড়। পর্যায়ক্রমে তার কাছ থেকে আবার ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মুকন্দর জমি বন্ধক ও ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ছাত্তারের জমি বন্ধক রাখে। এমনকি বিয়ের কিছু দিন পরে গ্রাম ডাক্তার ফরিদা আক্তার শিমু গর্ভবতী হলে তরকারি সাথে বিষ মিশিয়ে ৬ মাস ৭ দিনের বাচ্চা নষ্ট করে দেয় তার শ্বশুর-শাশুড়ী। এছাড়া প্রতিনিয়ত তার কাছে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তার ননদ নার্গিস বেগম ও তার স্বামী আরিজুল ইসলাম এসেও তাকে নির্যাতন করতে থেকে। সর্বশেষ বেশ কয়েকদিন আগে গ্রাম ডাক্তার শিমুর পিতার রেখে যাওয়া চুকনগের দু’তলা বাড়ি বিক্রি করে তার শ্বশুর-শাশুড়ীর হাতে তুলে দিতে বলে। সে উক্ত বাড়ি বিক্রি করতে অস্বীকার করায় তাকে বেধড়ক মারপিট করে শিমুর গলায় থাকা হার ও কানে থাকা কানের দুল ছিনিয়ে নেন। 
এবিষয়ে গ্রাম ডাক্তার শিমু বলেন ১২ বছর বয়সে তার পিতা মারা যান। ভাইবোনদের মধ্য বড় হওয়ায় সে সকলকে বিয়ে দিয়ে শেষে নিজে বিয়ে করে। সে গ্রাম ডাক্তার হওয়ায় টাকা ইনকাম করার সুবাদে বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর-শাশুড়ী ননদ লাগাতার ভাবে বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে নির্যাতন করে আসছে। সর্বশেষ আমার পিতার বাড়ি বিক্রি করে দিতে বলে। আমি দিতে অস্বীকার করায় আমাকে বেধড়ক মারপিট করে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। তার স্বামী সাধাসিধে ও নরম স্বভাবের মানুষ হওয়ায় তার উপর দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলছে। এখন তার শ্বশুর-শাশুড়ী তার দেওয়া টাকা পয়সা ফেরত না দিয়ে তাকে তালাক দেওয়ার জন্য পায়তারা করে বেড়াচ্ছে। সে নিরুপায় হয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে ধন্যা দিচ্ছে। 
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শিমুর বড় শ্বশুর মোঃ করিম মোড়ল জানান, ভাই মুক্তার আলীকে কখনও কাজ করতে দেখিনি। তার ভাই ও ভাবি মিলে তাদের বৌমার কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে দিন পরিচালনা করে এবং বৌমাকেও মারপিট করে। তারা বারংবার ভাই ও ভাবিকে বৌমার প্রতি অত্যাচার করতে নিষেধ করলেও তা কর্ণপাত না করে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। যা এলাকার সকলে জানেন। 
এবিষয়ে গ্রাম ডাক্তার শিমুর শ্বশুর-শাশুড়ীর সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে গেলে তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। অসহায় গৃহবধূ শিমু তার শ্বশুর-শাশুড়ী-ননদের এমন অসহনীয় অত্যাচরের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ