খুলনা | শনিবার | ২১ জুন ২০২৫ | ৭ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য হবে পাকিস্তান সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৭ এ.এম | ২১ জুন ২০২৫


ইরানে সামরিক হামলার পর থেকে তেলআবিব সরকার এই আগ্রাসনকে বৈধতা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ শীর্ষ ইসরায়েলি নেতারা ধারাবাহিকভাবে ইরানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদের দাবি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিই এই হামলার মূল কারণ। যুক্তরাষ্ট্রও একই সুরে কথা বলছে। এমনকি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল­াহ আলি খামেনিকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা। 
এই উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে নতুন করে বিস্ময় ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মেইর মাসরির এক মন্তব্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “ইরানে অভিযানের পর ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য হবে পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রকল্প।”
এই মন্তব্য ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার পথে, তখন পাকিস্তানকে টেনে আনা গোটা অঞ্চলের জন্য উদ্বেগের কারণ।
এদিকে, পাকিস্তান শুরু থেকেই ইসরায়েলের সম্ভাব্য অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভাবে আত্মরক্ষামূলক এবং এটি কোনো আগ্রাসনের হাতিয়ার নয়।
এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ক‚টনৈতিক ভাবে নতুন মাত্রা যোগ করেছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরের হোয়াইট হাউস সফর। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি অসীম মুনিরের সঙ্গে দেখা করে সম্মানিত বোধ করছি।”
উলে­খযোগ্য ভাবে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর যখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সেই সময় সংকট নিরসনে জেনারেল মুনিরের ভূমিকা ছিল ‘নির্ণায়ক’। সেই শান্তি প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ জেনারেল মুনির ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন বলে জানান হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি। 
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলি সাবেক মন্ত্রীর সা¤প্রতিক মন্তব্য শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই এখন নজর বিশ্ব রাজনীতির।

্রিন্ট

আরও সংবদ