খুলনা | রবিবার | ২২ জুন ২০২৫ | ৮ আষাঢ় ১৪৩২

ময়মনসিংহে নিহত ১১ জনের পরিচয় মিলেছে, বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪১ এ.এম | ২২ জুন ২০২৫


ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় শুক্রবার মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ঘটা দুই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের পরিচয় মিলেছে। তাদের মধ্যে দু’জন নারী এবং ৯ জন পুরুষ। ঘটনাস্থল দু’টি পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আকতার উল আলম এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বেপরোপয়া গতিকে দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তারা।
পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। দুর্ঘটনার শিকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস ও অন্য যানবাহনগুলোর অবস্থা দেখে বেপরোয়া গতির বিষয়টি স্পষ্ট। তারপরও ঘটনার তদন্ত করে সঠিক কারণ বের করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাদি এবং তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান। তারাও এসব দুর্ঘটনার জন্য বাস, এ্যাম্বুলেন্স এবং অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রা গাড়ির বেপরোয়া গতিকে দায়ী করেছেন।
ওসি আব্দুল হাদি জানান, ফুলপুরে বাস ও মাহেন্দ্রর দুর্ঘটনায় বাস চালক পালিয়ে গেছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দুই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের পরিচয় মিলেছে। 
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ সড়কের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা ইন্দিরারপার এলাকায় যাত্রীবাহী একটি মাহিন্দ্রাকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আরও দুইজন মারা যান।
একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর বাজার সংলগ্ন হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে একটি এ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মমেক হাসপাতালে মারা যান অটোরিকশা চালক।

্রিন্ট

আরও সংবদ