খুলনা | সোমবার | ২৩ জুন ২০২৫ | ৯ আষাঢ় ১৪৩২

সাবেক সিইসিকে হেনস্তা, অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা সরকারের

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৩ এ.এম | ২৩ জুন ২০২৫


সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে হেনস্তা করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। ‘মব’ সৃষ্টি করাকে ফৌজদারী অপরাধ আখ্যায়িত করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে আবারও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার (২২ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান তুলে ধরে সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার, ২২ জুন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাকে একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এসময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার দেশের সকল নাগরিকের প্রতি আবারও আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। অভিযুক্ত সকল ব্যক্তির বিচার দেশের আইন মেনে হবে এবং বিচারাধীন বিষয় ও ব্যক্তির ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর আক্রমণ ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি, আইনের শাসনের পরিপন্থী ও ফৌজদারি অপরাধ। ‘মব’ সৃষ্টি করে উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সকলকে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল নাগরিককে সহনশীল ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির জন্য দায়ী করে কে এম নুরুল হুদাসহ সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে রোববার সকালে মামলা করে বিএনপি। এদিন সন্ধ্যায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ বিক্ষুব্ধ জনতা কে এম নুরুল হুদাকে উত্তরার একটি বাসা থেকে ধরে হেনস্তার পর পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার দেখায়।

আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে। ক্ষমতায় থেকে তিনটি ভুয়া নির্বাচন করে বলে অভিযোগ রয়েছে দলটির বিরুদ্ধে। বিতর্কিত তিনটি নির্বাচন যে তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে তাদের একজন কে এম নুরুল হুদা।

২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সিইসির দায়িত্ব পালন করা কে এম নুরুল হুদার অধীনে অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের নির্বাচন। সেই নির্বাচনটি ‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিতি পায়। সেই নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো অংশ নিলেও কেউই পাত্তা পায়নি সরকারি দল আওয়ামী লীগের কাছে। এর পেছনে নির্বাচন কমিশনকেও পক্ষপাতিত্বের জন্য দায়ী করা হয়। ফলে বাকি দুটি নির্বাচনের চেয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ বেশি বিরোধীদের মধ্যে।

্রিন্ট

আরও সংবদ