খুলনা | সোমবার | ২৩ জুন ২০২৫ | ৯ আষাঢ় ১৪৩২

প্রতিশোধ কতটা তীব্র হবে, তা নির্ধারণ করবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী: জাতিসংঘে হুঁশিয়ারি

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪১ পি.এম | ২৩ জুন ২০২৫


যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ‘বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অজুহাতে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে’— এমন অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি।

রোববার (২২ জুন) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ বৈঠক আহ্বান করে ইরান। ইরাভানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালিয়েছে, তা ইরানের ওপর একটি স্পষ্ট আগ্রাসন। আর আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে আত্মরক্ষা ইরানের অধিকার।

তিনি জানান, এই আগ্রাসনের ‘উপযুক্ত জবাব’ দেবে ইরান। তবে প্রতিশোধ কখন, কীভাবে এবং কতটা তীব্র হবে— সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের সশস্ত্র বাহিনী।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ইরানি প্রতিনিধি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেন, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে একটি ‘ব্যয়বহুল ও ভিত্তিহীন যুদ্ধে’ জড়িয়েছে।

ইরাভানি আরও বলেন, ইসরায়েল বারবার একটি ‘ভুয়া গল্প’ প্রচার করছে যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তিনি এই প্রচারকে ‘মিথ্যা ও প্রতারণামূলক’ বলে অভিহিত করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ কিছু পশ্চিমা দেশের ‘নীরবতা ও দ্বিমুখী আচরণ’ও সমানভাবে নিন্দনীয়।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইরাভানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে অবশ্যই এই হামলার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানান। রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, এ ধরনের হামলা সম্পূর্ণ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’। চীনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।

এদিকে, ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা নিয়ে আবারও কটাক্ষ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ইরান যদি আবার মহান হতে না পারে, তাহলে কেন সেই শাসনব্যবস্থা বদলানো হবে না?

তিনি আরও বলেন, যদিও ‘শাসন পরিবর্তন’ শব্দটি রাজনৈতিকভাবে খুব জনপ্রিয় নয়, তবুও বাস্তবতা যদি এমন হয়, তাহলে তা কেন হবে না?

পোস্টের শেষে ট্রাম্প লেখেন, MIGA!!! অর্থাৎ— Make Iran Great Again। এটি তার পরিচিত স্লোগান Make America Great Again বা MAGA-এর অনুকরণে তৈরি।

্রিন্ট

আরও সংবদ