খুলনা | মঙ্গলবার | ২৪ জুন ২০২৫ | ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানকে ধন্যবাদ জানালেন ট্রাম্প

দুই দেশকে হামলা বন্ধ ও শান্তিতে ফেরার আহ্বান ট্রাম্পের

খবর প্রতিবেদন |
০২:৫৭ এ.এম | ২৪ জুন ২০২৫


কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে সোমবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এই হামলার পর মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে ইরান ও ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ ও শান্তিতে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া ট্রাম্প দাবি করেছেন, কাতারের ঘাঁটিতে হামলার আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে আগাম সতর্কতা দেয় তেহরান।

ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি ইরানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, হামলা সম্পর্কে আমাদের আগে থেকেই অবহিত করার জন্য, যার ফলে কোনো প্রাণহানি এবং কেউ আহত হননি। সম্ভবত ইরান এখন এই অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং আমি ইসরায়েলকে একই দিকে যেতে উৎসাহিত করব।”

গত শুক্রবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলার জবাবেই সোমবার কাতারে অবস্থিত ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। তবে পাল্টা হামলাটি দুর্বল ছিল বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তিনি ট্রুথে লিখেছেন, “ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের পর আনুষ্ঠানিকভাবে খুবই দুর্বল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, যা আমরা আশা করেছিলাম এবং খুব কার্যকরভাবে এর জবাব দিয়েছে। ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে - ১৩টি ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ১টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, কারণ এটি হুমকিহীন দিকে যাচ্ছিল। আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে কোনো আমেরিকানের ক্ষতি হয়নি এবং ক্ষয়ক্ষতি খুবই কম হয়েছে। আশা করা যায়, আর কোনও ঘৃণা থাকবে না।”

এর আগে, সোমবার ইরান থেকে ছোড়া একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কাতারে অবস্থিত আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটির দিকে ছুটে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা সেখানে বড় ধরণের বিষ্ফোরণের কথা জানান। তবে কাতার সরকার জানায়, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

ইরানের দাবি, এই হামলা ছিল ‘ধ্বংসাত্মক ও শক্তিশালী’, তবে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন—এতে কোনো সেনা নিহত বা আহত হয়নি। আল উদেইদ ঘাঁটিটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই ইরান কূটনৈতিক চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারকে আগাম বার্তা পাঠায়। এর ফলে সময়মতো প্রস্তুতি নিয়ে হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ অভিযানে ইরানের ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও ইস্ফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় বাংকার-বাস্টার বোমা ফেলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তেহরান। এরপরই প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে এ হামলা চালায় ইরান।

্রিন্ট

আরও সংবদ