খুলনা | বুধবার | ২৫ জুন ২০২৫ | ১১ আষাঢ় ১৪৩২

নগর বিএনপি’র সভাপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা এজাহারভুক্ত আসামি

এসআই সুকান্তকে ধরলো জনতা, পুলিশে হন্তান্তরের পর তিন মামলা আসামিকে রাতের আঁধারে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৪৩ এ.এম | ২৫ জুন ২০২৫


খুলনায় পুলিশের এস আই সুকান্ত দাশকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়; পরে রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গত রাত ১১টার দিকে সর্বশেষ জানতে খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন ও কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারকে মোবাইল করলেও কল রিসিভ করেননি তারা।
অভিযুক্ত এসআই সুকান্ত দাশ মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনার বাড়িতে ভাঙচুরসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগে অভ্যুত্থানের পরে দায়েরকৃত তিনটি মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় বিএনপি’র একটি কর্মসূচি ছিল। এসময় সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলারে করে যাচ্ছিলেন এস আই সুকান্ত। থ্রি-হুইলারটি ইস্টার্ন গেটের সামনে দাড়িয়ে যাত্রী ওঠানোর সময় বিএনপি’র কিছু নেতা-কর্মী সুকান্তকে গাড়ি থেকে বের করে মারপিট করে। পরে বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেন।
বিকালে খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেছিলেন, নিরাপত্তা জন্য এস আই সুকান্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি, শুধু গায়ের টি-শার্ট ছিড়ে গেছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের ব্যবহৃত সরকারি নম্বরে কল করলেও তারা রিসিভ করেননি। অনুরূপ ওসি কবির হোসেনও কল রিসিভি করেননি। 
খানজাহান আলী থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মোঃ হযরত আলী থানার ব্যবহৃত নম্বরে কল রিসিভ করলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। 
তবে স্থানীয় ও পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, রাতের আঁধারে এস আই সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে নগরীতে।
উলে­খ্য, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় নগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এবং একই দলের ২১ নং ওয়ার্ড শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা কারাগারে আছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ