খুলনা | বুধবার | ২৫ জুন ২০২৫ | ১১ আষাঢ় ১৪৩২

তেরখাদায় পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নিরাপত্তাহীনতায় বয়োঃবৃদ্ধা ফিরোজা বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:১৮ এ.এম | ২৫ জুন ২০২৫


পুলিশের পোশাকে আস্থার প্রতীক হলেও তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবু তালেবের জীবনে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্ভোগের নাম। পুলিশের এক কনস্টেবলের প্রতারণায় সর্বস্ব হারিয়ে এখন পরিবারসহ পথে বসেছেন তিনি। হারিয়েছেন সহায়-সম্পত্তি, এমনকি অর্থের অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তিনি। 
এর আগে গত ৪ জুন খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন আবু তালেব স্ত্রী ফিরোজা বেগম। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের। ফলে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, কনস্টেবল (নং কং/১৮৫১) মোল­া রহমত উল­াহ ডুমুরিয়া থানার চক আহসান খালী মৌজায় তার স্ত্রীর নামে থাকা জমি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। একই সঙ্গে চরপাতলার বাড়ির দুই বিঘা জমিও নিজের ও স্ত্রীর নামে লিখিয়ে নেন।
তিনি জানান, পরে তদন্ত করে জানতে পারেন, উলি­খিত এলাকায় পুলিশের ওই সদস্যের নামে কোনো জমি নেই। অন্যের জমি দেখিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল প্রতারণামূলক। এ ঘটনায় তিনি খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন, যা এখনো বিচারাধীন। একমাত্র আবু তালেবই নন, তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তার বৌমা আকাশী খাতুনের কাছ থেকেও ডুমুরিয়া এলাকায় জমি কেনার প্রলোভনে ১২ লাখ ৩ হাজার টাকা নেন রহমত উল­াহ। এই ঘটনায়ও আদালতে সিআর ২৮৯/২৪ নম্বর মামলা চলমান রয়েছে। আবু তালেব অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর রহমত উল­াহ নিজেকে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে হুমকি দিতে থাকেন। শেখ পরিবারের নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় আরও বহু নিরীহ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, সবকিছু হারিয়ে আজ আমি অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকি। টাকা না থাকায় চিকিৎসাও করাতে পারছি না। তিনবার স্ট্রোক করেছি। অথচ মামলার আসামি হয়েও সে বহাল তবিয়তে চাকুরি করছে।” জানা গেছে, বর্তমানে কনস্টেবল মোল­া রহমত উল­াহ ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার কলাটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। মামলার আসামি হলেও তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কনস্টেবল মোল­া রহমত উল­াহ বলেন, আবু তালেব ও তার স্ত্রী তাদের জমি আমার কাছে বিক্রি করেছেন। পরে দাম বাড়ায় তারা জমি ফেরত চাইছেন। আমি জমি ফেরত না দেওয়ায় এখন মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, জমি বিক্রির নামে ভুয়া দলিল ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ই ছিল রহমত উল­াহর উদ্দেশ্য।

্রিন্ট

আরও সংবদ