খুলনা | মঙ্গলবার | ০১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

১০ নাবিক ভাসমান অবস্থায় জীবিত উদ্ধার

মোংলা বন্দরে ৯১৪ মেট্রিক টন ফ্লাইয়াস বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবি

মোংলা প্রতিনিধি |
০৫:০৪ পি.এম | ২৭ জুন ২০২৫


মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল ও মোংলা ঘষিয়াখালীর ত্রি-মোহনায় কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে অন্য একটি লাইটারের সাথে সংঘর্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে জাহাজে থাকা কোনো নাবিক হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বন্দরের হারবার বিভাগ ও ডুবে যাওয়া কার্গো এমভি মিজান-১ জাহাজটি মাস্টার মো: শওকাত শেখ জানায়, ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল থেকে ফ্লাইঅ্যাশ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) নিয়ে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে দিয়ে আসছিল, যা ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার সময় মোংলা পশুর চ্যানেল ও ঘষিয়াখালী ক্যানেলের ত্রি-মোহনায় যাত্রা বিরতি করছিল। সকালে বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি লাইটারের সাথে সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটির মাস্টার মো: শওকত শেখ আরো জানান, তাদের জাহাজটি পশুর চ্যানেলে অ্যাংকর করা অবস্থায় ছিল। এসময় এমভি কে আলম গুলশান-২ নামে একটি লাইটার কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিয়ে তাদের জাহাজের ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে ডুবে যায় এমভি মিজান-১ নামের কার্গো জাহাজটি।

তিনি আরো জানায়, ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ৯১৪ মেট্রিক টন ফ্লাইঅ্যাশ ছিল। জাহাজে থাকা ১০ জন নাবিক অন্য নৌযানের সহায়তায় কিনারে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

সামান্য আহত হলেও তেমন কোন ক্ষতি হয়নি নাবিকদের৷ তবে ডুবন্ত কার্গোটিতে নাবিকদের কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল নদীতে ভেসে যায়। কার্গো জাহাজে থাকা নাবিকরা প্রানে রক্ষা পেলেও তাদের নগদ টাকা ও মুল্যবান মালামাল কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো: মাকরুজ্জামান বলেন, মোংলা পশুর নদী ঘষিয়াখালী মোহনায় কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে৷ এ ব্যাপারে বন্দরের হারবার বিভাগ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার জন্য একটি টিম সেখানে পাছানো হয়েছে। তবে ডুবন্ত কার্গোটি মেইন চ্যানেল থেকে অনেকটা দুরে ডুবে আছে। বন্দরে দেশ-বিদেশী জাহাজ আগামন নির্গামনে মুল চ্যানেল সুরক্ষিত রয়েছে। চ্যানেল দিয়ে পন্যবাহী জাহাজ বা অন্যান্য নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ