খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলীর পদত্যাগ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোঃ শফিকুল আলমের সহযোগিতা চেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। 
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে বিএনপি,  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।  বৈঠকে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবগত করবেন বলেন আশ্বাস দেন প্রেস সচিব।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রেস সচিব মোঃ শফিকুল আলম খুলনা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। খবর পেয়ে কেএমপি সদর দপ্তর থেকে শত শত ছাত্র-জনতা খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান। তারা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। 
এ সময় তারা কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলীর পদত্যাগ দাবিতে প্রেস সচিব মোঃ শফিকুল আলমের সহযোগিতা কামনা করেন। 
জানা গেছে, সকাল থেকেই কেএমপি কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল ছিল গতকালও। এদিন বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে খুলনা প্রেসক্লাব পরিদর্শনে যান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, আমরা প্রেস সচিবের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাই না। আমরা আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সমাধান চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কিছু করেনি। আমরা শুধু প্রেস সচিবের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি বার্তা দিতে চাই, এ অযোগ্য পুলিশ কমিশনার খুলনায় থাকতে পারবে না।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের খুলনা মহানগরের সদস্য সচিব জহুরুল তানভীর বলেন, প্রেস সচিবের কাছে শুধু আমরা একটি মেসেজ পৌঁছে দিতে চাই, মেসেজটি উনি প্রধান উপদেষ্টাকে দেবেন। গত চারদিন ধরে আমরা কেএমপি কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছি।
তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এমনকি পুলিশের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদের খোঁজ নেয়নি। যেহেতু আমরা প্রেস সচিবকে পেয়েছি তার কাছে শুধু আমাদের দাবি পৌঁছে দিতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ বলেন, কেএমপি কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা মেরে বেশ কিছু দিন আন্দোলন করে আসছিল ছাত্র-জনতা। আজ সন্ধ্যার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোঃ শফিকুল আলম গেলে আন্দোলনকারীরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় তারা কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলীর পদত্যাগ দাবিতে প্রেস সচিবের সহযোগিতা কামনা করেন। আন্দোলনকারীরা তাকে বলেন, ‘কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী আওয়ামী লীগের দোসর। তার পদত্যাগ দাবিতে ছাত্র-জনতা যে আন্দোলন করছে সেই বিষয়টি তিনি (শফিকুল আলম) যেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে জানান। 
উলে­খ্য, জুলাই মাসের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী এসআই সুকান্তকে আটক করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত বুধবার থেকে কেএমপি কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা মেরে আন্দোলন করে আসছে ছাত্র-জনতা।