সংস্কার, বিচার, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবিতে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা যোগ দিয়েছেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান এ মহাসমাবেশ হিন্দ্,ু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন। তবে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিরোধী হওয়ায় বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায়নি ইসলামী আন্দোলন।
শনিবার দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল মহাসমাবেশে যোগ দেন। দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিমসহ জামায়াতের ৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত হন।
আর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
যোগ দিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার সভাপতি নূরুল হক নূর, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মূসা বিন ইজহার, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাদের মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি, বাংলাদেশ খেলাফত মহাসচিব জালাল উদ্দিন, খেলাফত আন্দোলন মহসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানি প্রমুখ।
মহাসমাবেশে যোগ দেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, বোধিজ্ঞান ভাবনাকেন্ত্রের সভাপতি দয়াল কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, অতীতের গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ মহাসমাবেশ করে। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের মূলপর্ব শুরু হয়।
এদিকে দুপুর ২টায় মূল অধিবেশন শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে আসা নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টায় কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় মহাসমাবেশের প্রথম পর্ব।