নগরীতে বালু ব্যবসায়ী বাবুল দত্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুরগাছা এলাকার মোঃ রুস্তম শেখের ছেলে সুমন শেখ (৪৫) ও ফুলতলা উপজেলার জামিরা মোল­াপাড়া এলাকার শামছুর মোল­ার ছেলে মুক্তি মোল­া (৫৩)।
কেএমপি জানায়, নিহত বাবলু দত্তের ছেলে দিপু দত্ত গত ২৭ জুন মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি উলে­খ করেন, গত ২৬ জুন তিনি ও তার বাবা সকাল ৯টার দিকে কৈয়া বাজারস্থ জেলের মোড়ে অবস্থিত তাদের দোকানে যান। বাবুল দত্ত দোকান থেকে রাজমিস্ত্রী কাজের জন্য কুলটি যান। রাত ৮টার দিকে তার বাবা দোকানে আসেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে দোকান থেকে পুনরায় বের হয়ে যান। রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশি বৃত্তান্ত (২৮) বাদীর কাছে ফোন করে জানান যে, দেবাশীষের মেহগুনি বাগানের পাশে রাস্তার উপর বাদীর বাবার মোটরসাইকেলটি প্রায় এক ঘন্টা ধরে রাখা আছে। তখন বাবুল দত্তের মোবাইল নম্বরে ফোন করে, কিন্তু ডায়াল হলেও রিসিভ না করায় বাদী ও তার ধর্ম মামা একটি মেহগুনি বাগানের সামনে এসে বাদীর বাবার মোটরসাইকেলটি রাস্তার উপর দেখতে পান। বাদী মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে খোঁজার এক পর্যায়ে দেবাশীষের মেহগুনি বাগানের ২০/২৫ গজ ভিতরে তার বাবার গলা কাটা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
কেএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাবুল দত্ত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের শনাক্ত করে কৈয়াবাজার এলাকা এবং ফুলতলা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে সুমন শেখ ও মুক্তি মোল­াকে গ্রেফতার করে হরিণটানা থানা পুলিশ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ভিকটিম বাবলু দত্তকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। তাদের দেখানো মতে রাজবাধ দক্ষিণপাড়াস্থ অরুন বাবু ও প্রদীপ বাবুর প্লটের ইটের সলিং রাস্তার পশ্চিম পাশে কথিত রউফ সাহেবের খালের পানির মধ্য থেকে ২টি ধারালো লম্বা চাপাতি, তাদের হেফাজত থেকে ২টি মোবাইল ফোন এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। 
থানার রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামি সুমন শেখের বিরুদ্ধে দু’টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উলে­খ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আরোও কোন মামলা আছে কী না তা যাচাই করা হচ্ছে। নির্মম এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।