খুলনা | মঙ্গলবার | ০১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সংকটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি

|
১২:৫৬ এ.এম | ৩০ জুন ২০২৫


বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে জ্বালানি খাতের দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে পরিস্কারভাবে। সংলাপের বিষয় ছিল ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত’। এই সংলাপ অনুষ্ঠানে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আটটি সংকট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে : নিয়ন্ত্রক সংস্থার আর্থিক সংকট, গ্যাস সরসরবরাহে ব্যর্থতা, ভুল উপায়ে জ্বালানির মূল্য সমন্বয় এবং জ্বালানি রূপান্তরের গতি কমে যাওয়া।
আমাদের স্মরণে আছে, গত রেজিমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু একইসঙ্গে বিদ্যুৎ -জ্বালানির স্বাভাবিক ব্যবহার ও জ্বালানি রূপান্তরের কাজগুলো ঠিকমতো হয়নি, বরং ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। হয়েছে অর্থের অপচয়, দেখা গেছে সুশাসনের অভাব। বর্তমান সময়ে এসে আমরা দেখছি বিভিন্ন জ্বালানি, যেমন তেল ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে না। এতে আর্থিক বোঝা ভারি হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের কিস্তি বকেয়া হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা আরও আছে। এবারের বাজেটে জ্বালানি খাতে কয়লার নির্ভরতার কথা বলা হয়েছে, এলএনজি আমদানির কথা রয়েছে; কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। বাজেটে এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতির কথা বলা হলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি, বরং এক্ষেত্রে বরাদ্দ কমেছে।
সিপিডির সংলাপে জ্বালানি খাতের যে সংকটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সরকারের উচিত হবে সেগুলো আমলে নেওয়া। দুঃসংবাদ হলো, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল-ইরান বৈরী সম্পর্কের কারণে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তাতে একটা অস্থির সময় পার করছি আমরা। এ অবস্থায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিপিসির মুনাফা কমে ৬১৫ কোটি টাকায় নেমে আসতে পারে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে আগামী দিনগুলোয় দেশে বড় সংকট দেখা দিতে পারে। এমনিতেই গ্যাস সংকটের কারণে দেশের শিল্প খাত কঠিন সময় পার করছে। গ্যাসের দাম বেড়েছে যেমন, তেমনি আবার শিল্প খাতের গ্যাসের একটা অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। সবটা মিলিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ