খুলনা | সোমবার | ৩০ জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

বিপুল পরিমাণ মালামাল ও অর্থ তছরুপের অভিযোগ

নগরীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনের চাবি নিয়ে পালিয়েছে ৫ কর্মচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:৪২ এ.এম | ৩০ জুন ২০২৫


নগরীর ডাকবাংলাস্থ ‘মেসার্স সোফা কর্তার’ নামক দোকানের ৫ কর্মচারীর বিরুদ্ধে দোকান বন্ধ করে গোডাউনের চাবি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ মালামালও তারা সরিয়ে ফেলেছে এবং মোটা অংকের অর্থ তছরুপ করেছে-এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দোকানের মালিক গাজী তফসীর আহমেদ গত ২৫ জুন খুলনা সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি সদর ফাঁড়ির আইসিকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। 
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে খুলনা সদরের ডাকবাংলাস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা সোফা কর্তারে প্রায় ১৮ বছর যাবত কর্মরত ছিলো ম্যানেজার ও নগরীর শেখ পাড়া ১৬৫/২, শেরে বাংলা রোড এলাকার আব্দুর রাজ্জাক আলী বিশ্বাসের ছেলে মোঃ হাসান আলী বিশ্বাস (৪৮), তার ভাই  মোঃ হান্নান আলী বিশ্বাস, নগরীর বানরগাতি আল আমিন মহল্লার আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে গোডাউন ইনচার্জ মোঃ বাদল মোল¬া (৩৬), বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকার মৃত আব্দুল বারেক জোমাদ্দারের ছেলে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দোকানের মালামাল সরবরাহকারী মোঃ জিলানী জোমাদ্দার (৪৫) ও লবণচরার ছাচিবুনিয়া এলাকার মৃত আশরাফ সরদারের ছেলে মূল কারখানার বিক্রয় কর্মী মোঃ রমজান আলী। গত ১৫ রমজান দোকানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর থেকে উলি¬খিত কর্মচারীরা অস্বস্তিতে ছিল। কারন কাজ কর্মে তাদের গাফিলতি এবং নানা অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ছিল। এক পর্যায়ে এ বছরের ১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদরাতে সোফা কর্তার নামক দোকানে সারারাত মালামাল বিক্রি শেষে তারা পরিকল্পিত ভাবে ফজরের আজানের পরে দোকান বন্ধ করে গোডাউনের চাবি নিয়ে পালিয়ে যায়। এমনকি দোকানের কোন হিসাব কিতাব এবং গোডাউনের চাবিও তারা দোকানের মালিককে হস্তান্তর করেনি। তারপর থেকে তারা এখনও পর্যন্ত দোকানে আসেনি। খোঁজাখুঁজির চেষ্টা করা হলেও তাদের কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল ফোনও রিসিভ করেনি। 
সর্বশেষ তারা পালিয়ে যাওয়ার পর এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির মধ্যে তাদের কাছে থাকা গোডাউনের চাবি দিয়ে তালা খুলে গোডাউনের মালামালও তারা সরিয়ে ফেলেছে বলে আশঙ্কা করছেন দোকানের মালিক। বিশেষ করে তারা দীর্ঘ কয়েক বছর কর্মরত থাকায় টাকা পয়সা ও বিপুল পরিমাণ মালামালের হিসাব পাওয়া যায়নি। এতে আর্থিক ও ব্যবসায়িক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে দোকানের মালিক। বিষয়টি প্রতিকারের জন্য আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
খুলনা সদর ফাঁড়ির আইসি সাঈদুর রহমান বলেন, অভিযোগটি আমাকে থানা থেকে তদন্তের জন্য দিয়েছে। ব্যস্ততার জন্য তদন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি। আমি দ্রুত তদন্ত শুরু করবো।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ