খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪০ পি.এম | ০২ জুলাই ২০২৫


আদালত অবমাননার মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন, যেগুলো বিচারাধীন মামলার বিষয়ে ছিল। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি টকশো এবং দলীয় সভায় বিচারকদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর গাইবান্ধার এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনে ২২৭ জনকে মারার হুমকি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

এ বিষয়কে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেদিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওইদিন কোনো জবাব দাখিল না করায় তাদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসিকিউশন জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেননি।

পরে এ নিয়ে মামলা করে প্রসিকিউশন। এ ধরনের মামলায় পলাতক আসামিরপক্ষে আইনজীবী নিয়োগের নজির না থাকলেও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সরকারি খরচে আইনজীবী পান শেখ হাসিনা।

বুধবার ট্রাইব্যুনাল এক-এ পলাতক শেখ হাসিনাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানি হয়। ফাঁস হওয়া অডিও শোনেন ট্রাইব্যুনাল। ২২৭ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়েছি, শেখ হাসিনার এ বক্তব্য বিচারব্যবস্থার প্রতি হুমকির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। 

্রিন্ট

আরও সংবদ