খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

গণমাধ্যমে অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইলেন ড. ইউনূস

খবর প্রতিবেদন |
০৪:৩৭ পি.এম | ০২ জুলাই ২০২৫


গণমাধ্যমে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের নৈতিক মান বজায় রাখতে সহায়তা করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার (২ জুলাই) ইউনেস্কো বাংলাদেশ অফিসের প্রধান ও প্রতিনিধি সুসান ভাইজ এবং ইউনেস্কোর ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন অ্যান্ড সেফটি অফ জার্নালিস্টস সেকশনের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনশেলাহ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাতকালে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

ইউনেস্কো কর্মকর্তারা ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিস্থিতি মূল্যায়ন: মুক্ত, স্বাধীন এবং বহুমাত্রিক গণমাধ্যমের ওপর গুরুত্ব’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই প্রতিবেদনটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও ইউনেস্কো যৌথভাবে প্রস্তুত করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই প্রতিবেদনের জন্য সত্যিই অপেক্ষা করছি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের মূল সমস্যা হলো ভুল তথ্য, ভুয়া খবর… কিছু তথ্য দেশের বাইরের মানুষ ছড়াচ্ছে; কিছু স্থানীয় লোকও এতে জড়িত। এটি একটি অবিরাম বোমাবর্ষণের মতো চলছে।

শুধুমাত্র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মই নয়, নিয়মিত প্রচারিত গণমাধ্যমও ভুল তথ্য ছড়ানোর উৎস বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, আপনারা শুধু সরকারের সঙ্গে নয়, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলুন।

স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপরিহার্য জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, যদি কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বারবার ভুল তথ্য ছড়ায়, তাহলে তাকে মনে করিয়ে দিতে হবে যে তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জাতিসংঘ। আপনাদের কথা অনেক গুরুত্বপূর্ণ… আমাদের আপনাদের সহায়তা দরকার।

ইউনেস্কো প্রতিনিধি সুসান ভাইজ জানান, বৃহস্পতিবার যেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে তাতে আত্ম-নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।

সুসান ভাইজ বলেন, এই প্রতিবেদনটি দেখাবে কোনগুলো কাজ করছে, কোনগুলো করছে না এবং এটি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপস্থাপন করবে। কর্মকর্তাদের, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের এবং বিচার বিভাগের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে যাতে তারা এই মানের সঙ্গে নিজেদের কার্যপ্রণালীকে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে পারে।

ইউনেস্কোর সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনশেলাহ বলেন, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের কর্মপরিবেশ এবং সংবাদকক্ষগুলোতে নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কেও কিছু সুপারিশ থাকবে, যা বৈশ্বিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মেহদি বেনশেলাহ বলেন, এই বিষয়গুলোতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেদনটি ইউএনডিপির ‘Strengthening Institutions, Policies and Services (SIPS)’ প্রকল্পের আওতায় এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম উন্নয়নে ইউনেস্কোর ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

্রিন্ট

আরও সংবদ