খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

তালায় সদরের রহিমাবাদ-খাজরা-মোবারাকপুর সড়কটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ, দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের দাবি

তালা প্রতিনিধি |
১১:২৮ পি.এম | ০২ জুলাই ২০২৫


তালা সদরের জনগুরুত্বপূর্ণ চলাচলের সড়কটি মারাতœক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে খাজরা, মোবারকপুর ও রহিমাবাদ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।সরেজমিন দেখা গেছে, তালা ব্রিজ মোড় হতে সাধুপাড়ার মধ্য দিয়ে মোবারকপুর মোড়লপাড়া হয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ঢাকা অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা মোঃ ইউনুস আলী সরদারের বাড়ির সম্মুখ হয়ে খলিলনগর রোডের সোনা বিশ্বাসের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিঃ মিঃ রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির পূর্ব পাশে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী সরদারের বাড়ির সামনে ইটের রাস্তাটি ভেঙে পুকুরের গর্ভে চলে গেছে। ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে সামান্য বরাদ্দে পুকুরের মধ্যে আংশিক ইটের গাঁথুনি দিয়ে নামমাত্র পাইলিং করা হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি তালা সদরের বাইপাস সড়ক হিসাবে ব্যবহৃত করার উপযোগি একটি গ্রামীণ সড়ক। জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করার জন্য দাবি জানানো হয়েছে।
ভোগান্তির স্বীকার এলাকাবাসী পক্ষ থেকে মোঃ আঃ সাত্তার মোড়ল, মোঃ নজরুল ইসলাম সরদার, আঃ সালাম সরদার, মোঃ আলাউদ্দিন মোড়ল, মোঃ একলাস মোড়ল, মোঃ মিনারুল শেখ, মোঃ কুদ্দুস মোড়ল, মোঃ বাহারুল ইসলাম মোড়ল, মোঃ রমজান আলী মোড়ল, মোঃ ফারুক সরদার জানান, তালা ব্রীজ মোড়ের দূর্গামন্দির ও জাহাঙ্গীর মেম্বারের বাড়ির মোড় হতে সোনা বিশ্বাসের বাড়ী সংলগ্ন পিচের মোড় পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তাটি ইটের সলিং দ্বারা নির্মাণ করা হয়। জরাজীর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে কিছু অংশ ভেঙে পুকুরের গর্ভে চলে গেছে। কিছু কিছু অংশ খাদের সৃষ্টি হয়েছে। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ইঞ্জিন ভ্যান, পায়ে চলা ভ্যান, প্রাইভেটকার কোন কিছুই উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না। এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করার মত পরিবেশ নেই। তালা সদরের বেহাল দশা মুক্তি পেতে সাতক্ষীরা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী, তালা উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তালা ও সাবেক এমপি মোঃ হাবিবুল ইসলাম হাবিব-এর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। তাদের মতে রাস্তাটি চলতি অর্থ বছরে উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত জরুরি। না হলে রাস্তাটি কয়েক অংশে পুকুরের মধ্যে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তাটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে চরম জনভোগান্তির স্বীকার হবে রহিমাবাদ, খাজরা, মোবারকপুর গ্রামের মানুষ।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা প্রকৌশলী রথিন্দ্র নাথ হালদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান ২০২৫-২৬ অর্থ বছর মাত্র শুরু হয়েছে। তিনি জনগুরত্বপূর্ণ রাস্তাটি অতিদ্রুত পরিদর্শন পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।  

্রিন্ট

আরও সংবদ