খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

ফকিরহাটে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

ফকিরহাট প্রতিনিধি |
১২:২৬ এ.এম | ০৩ জুলাই ২০২৫


ফকিরহাটে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। উপজেলা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিশ্বাস নাজমুল হাসান (২৫) উপজেলার বালিডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বাস আঃ হকের ছেলে।
পুলিশ জানান বুধবার সকালে খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম শামীম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজজাক মীর ও উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আঃ রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ওই যুব ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মরদেহের পাশে থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের বাবা বিশ্বাস আঃ হক জানান, বুধবার ভোরে তার ছেলেকে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলান্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। তিনি বলেন, নাজমুল হাসান বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তায় বিষন্নতায় ভুগছিলেন। ছেলের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চিহ্নিত কারণ সম্পর্কে পরিবারকে সে কিছু বলেনি। 
মরদেহের পাশে থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, আব্বা, আম্মা, হাজেলা আপা, জিয়া ভাই, জিনিয়া তারকরিমসহ সবাই আমাকে মাপ করে দিও, সবাই ভাল থেকো, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। হিংসা অহঙ্কার মানুষকে শেষ করে দেয়। আমি ততটা মানুসিক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারছি না, তাই এই পথ বেছে নিলাম। নিজেকে নিজেই বিরক্ত লাগছে, কিছু মানুষ আমার কাছে টাকা পাবে দিয়ে দিও। আর আমার আব্বা হলো পরিবারের রাজা, কিন্তু আমি যা করেছি তার জন্য নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না। তাই এই পথ বেছে নিলাম। সবার অপ্রিয় বিশ্বাস নাজমুল। 
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, ওই মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। পাশে যে চিরকুট লেখা পাওয়া গেছে তা ওই যুবকের লেখা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা সঠিক ভাবে জানা যাবে।  
 

্রিন্ট

আরও সংবদ