খুলনা | রবিবার | ০৬ জুলাই ২০২৫ | ২২ আষাঢ় ১৪৩২

নারী ফুটবলারদের সাফল্য ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে

|
১২:১৩ এ.এম | ০৫ জুলাই ২০২৫


বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা আরও একটি সাফল্যের নজির স্থাপন করেছেন। বুধবার ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ও শক্তিশালী মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এজন্য তাদের প্রতি রইল আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন।
উলে­খ্য, সাত বছর আগে এ মাঠেই মিয়ানমারের কাছে পাঁচ গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ যে বদলে গেছে, তথা দেশের নারী ফুটবলের যে উন্নতি হচ্ছে, তার প্রমাণ মিলছে ক্রমান্বয়ে। বস্তুত দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের ফুটবলে এখন বাংলাদেশই সেরা। মেয়েদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ দুটি টুর্নামেন্টে টানা শিরোপা জয় করায় এ কথা জোর দিয়েই বলা যায়। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৮ ইত্যাদি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশের মেয়ে ফুটবলাররা ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়েছেন। ফুটবলে মেয়েদের এ সাফল্য দেশের জন্য গৌরবের। সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
অন্য অনেক দেশের মতো একসময় বাংলাদেশেও ফুটবল ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ঢাকার ফুটবল লীগের বড় দলগুলোর খেলা নিয়ে আগ্রহ ও কৌতূহল ছিল সারা দেশের মানুষের। সে সময় স্টেডিয়াম পূর্ণ হয়ে যেত দর্শকদের ভিড়ে। বড় বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো ঢাকায়। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সাফল্যও দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ফুটবলের সেই রমরমা যুগ এখন আর নেই। খেলার মান পড়ে যাওয়া, সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের অভাব, ক্রিকেটের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া ইত্যাদি কারণে দেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। এ অবস্থায় নারীদের সাফল্য ফুটবল নিয়ে আমাদের নতুন করে আশান্বিত করে। আরও আশার কথা, সা¤প্রতিক সময়ে পুরুষদের ফুটবলও ফের জনপ্রিয় হয়ে ওঠার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ফুটবলে মেয়েদের এ পর্যায়ে উঠে আসার কাজটি সহজ ছিল না। এখানে রয়েছে নানা সামাজিক-পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা। বিভিন্ন প্রতিক‚লতা জয় করেই এ পর্যায়ে এসেছেন তারা। এ সাফল্য ধরে রাখতে হলে উন্নত প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে মেয়ে ফুটবলারদের মানোন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। নজর দিতে হবে পুরুষ ফুটবলারদের মানোন্নয়নেও। সারা দেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে কিশোর-কিশোরীদের বাছাই করে নিয়মিত ফুটবলের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। দূর অতীতে যেমনটা হয়েছিল, সেভাবে দেশে ফুটবলের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে হবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলে আমাদের ব্যর্থতা ঘুচবে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় খেলা ফুটবলকে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ