খুলনা | রবিবার | ০৬ জুলাই ২০২৫ | ২২ আষাঢ় ১৪৩২

খানজাহান আলী থানা শ্রমিক দলের সভাপতি শহিদুল : সাধারণ সম্পাদক জিহাদুল

দেশের প্রতিটি দুঃসময়ে জিয়া পরিবার শক্ত হাতে এ দেশের হাল ধরেছেন : এড. মনা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:০০ এ.এম | ০৫ জুলাই ২০২৫


মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা দেশের গণতন্ত্রের  কবর কবর রচনা করেছিলেন আর গণতন্ত্র পুনর্জাগরণে আন্দোলন করেছে বিএনপি। হাজারো নির্যাতন নিপিড়ন, খুন গুম, মামলা হামলার খড়গ নিয়েও আন্দোলন থেকে পিছু হটেনি বিএনপি। দেশের প্রতিটি দুঃসময়ে জিয়া পরিবার শক্ত হাতে এদেশের হাল ধরেছেন। ৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলায় বেঘোরে প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ। বাঙালির এই দুঃসময়ে জীবনবাজি রেখে প্রবল বিক্রমে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন মেজর জিয়াউর রহমান। চট্টগ্রামে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত তার স্বাধীনতার ঘোষণায় উদ্বেলিত জনগণ সাহসের সঙ্গে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি জিয়াউর রহমান। ‘উই রিভোল্ট’ হুঙ্কার দিয়ে নিজেও নেতৃত্ব দেন সশস্ত্র সংগ্রামে।
শুক্রবার বিকেলে খানজাহান আলী থানা শ্রমিক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‎বাংলাদেশের ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া এক অনমনীয় নেতৃত্বের নাম যাঁর আপসহীন সংগ্রামী মনোভাব এদেশের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পথ দেখিয়েছে বারবার। সাধারণ একজন গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্রের ক্রান্তিলগ্নে এক অপ্রতিরোধ্য নেতৃত্ব হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুধুমাত্র স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধেই নয়, পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কালো ছায়া থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিক‚ল রাজনৈতিক পরিবেশেও তিনি আপসহীন থেকেছেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে বিএনপি এই অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সর্বদা অবিচল থেকেছে। ২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যখন জাতি ছিল হতাশায় নিমজ্জিত ও দিশেহারা, তখন দূর প্রবাসে থেকেও আশার আলো দেখিয়েছেন তারেক রহমান। তার কণ্ঠে আমরা শুনেছি স্বাধীনতা এবং ঐক্যের ডাক। জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন-নেতৃত্ব মানে দূরত্ব নয়, নেতৃত্ব মানে জনতার হৃদয় জয় করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন মহানগর শ্রমিক আহবায়ক মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, বদরুল আনাম খান, খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, শফিউল ইসলাম শফি, মোল­া সোহাগ হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম, শেখ মোঃ আলমগীর হোসেন, ইকবাল হোসেন মিজান, মীর শওকত হোসেন হিট্টু, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, আনোয়ার হোসেন, মামুন শেখ, ডাঃ রইচউদ্দিন, হাবিবুর রহমান বিপ্লব, মোঃ সিয়াম হোসেন, শাম্মী চৌধুরী মলি, সাবিনা ইয়াসমিন, চমন আরা, দাউদুর রশিদ শাওন, মোল­া সোহরাব হোসেন, এমদাদুল হক, হেলাল শরীফ, জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল­াহ তারেক ও মুন্সি আজমল হোসেন।
কাজী শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জিয়াদুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, যুগ্ম-আহবায়ক আবু বক্কার সিদ্দিক, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সরদার আরব আলী জিএম মাহাবুর রহমান। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ভোটের মাধ্যমে খানজাহান আলী থানা শ্রমিক দলের সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী শহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জিহাদুল ইসলাম। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা। উলে­খ্য দীর্ঘ ১৮ বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংগঠনের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ