খুলনা | বুধবার | ৩০ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ঝিনাইদহে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি |
১২:৪৫ এ.এম | ০৮ জুলাই ২০২৫


ঝিনাইদহে সুদীপ জোয়ার্দ্দার নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের দাবিতে শহরের কেপি বসু সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার বন্ধুবান্ধব, শুভাকাক্সক্ষী ও এলাকাবাসী। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের পায়রা চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের এসএসসি ও ২০০৯ সালের এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে অংশ নেন মাকিবুল হাসান বাপ্পি, ফাহাদ মাহমুদ মারুত, আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা অভিযোগ করেন ৬ জুলাই সুদীপকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তার পিঠ ও পায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা আত্মহত্যার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা বলেন মৃত্যুর পর সুদীপের পরিবার থেকে কেউ হাসপাতালে আসেনি এবং তারা ময়নাতদন্ত করতে বাধা দিয়েছিল। এতে করে ঘটনাটি আরও রহস্যজনক হয়ে উঠেছে।
সুদীপ জোয়ার্দ্দার শহরের কেপি বসু সড়কের বাসিন্দা এবং সুনীল জোয়ার্দ্দারের ছেলে। ছোটবেলাতেই তার মা মারা যায়। এরপর বাবার দ্বিতীয় সংসারে সৎ মায়ের সঙ্গে তার বেড়ে ওঠা। পরিবারে ছিল একটি পালিত ভাই শিলন জোয়ার্দ্দার, যার সঙ্গে সুদীপের সম্পর্ক ছিল টানাপোড়েনপূর্ণ। বক্তারা ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা বলেন আমরা সুদীপ হত্যার সঠিক বিচার চাই। দোষীদের যেন কেউ রেহাই না পায়। বন্ধু ফাহাদ মাহমুদ মারুত বলেন, ‘সুদীপ সবসময় হাসিখুশি থাকত। বাড়িতে সৎমায়ের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। সে অসুস্থ হলেও বাড়ি থেকে তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করেনি। ওকে দেখে কখনো মনে হয়নি ও আত্মহত্যা করতে পারে। মৃত্যুর পর তার প্যান্টের পকেটে দুটি মোবাইল পাওয়া যায়, যা আত্মহত্যার সময় থাকা সন্দেহজনক।’ 
সুদীপের মামা প্রশান্ত রায় বলেন, ‘সুদীপ আত্মহত্যা করেনি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তোয়ালে দিয়ে কেউ কখনো গলায় ফাঁস নিতে পারে না। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি আমার ভাগনে হত্যার বিচার চাই।’ আর পুলিশ বলেছে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদক পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ