খুলনা | বুধবার | ৩০ জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

কপিলমুনির ভরত চন্দ্র হাসপাতাল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

কপিলমুনি (পাইকগাছা) প্রতিনিধি |
১২:৪৭ এ.এম | ০৮ জুলাই ২০২৫


কপিলমুনির ভরত চন্দ্র হাসপাতাল রক্ষার দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সকালে হাসপাতালের সামনে আধুনিক কপিলমুনির রূপকার রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর প্রতিষ্ঠিত ভরত চন্দ্র হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত, জনবল বৃদ্ধি ও জনকল্যাণে দানকৃত হাসপাতালের সম্পত্তি দখলে নিতে স্থানীয় চিহ্নিত দু’ভূমিদস্যু মোঃ জয়নুদ্দীন গাজী ও গোপাল সাধু কর্তৃক দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আহবায়ক এইচ এম শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পানি কমিটি ও বিএনপি’র কপিলমুনি ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি এম বুলবুল আহম্মেদ, উপজেলা জামাতের সম্পাদক মাওঃ আলতাপ হোসেন, স্থানীয় সাংবাদিক এস এম, মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, কপিলমুনি কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওঃ আঃ হান্নান, বনিক সমিতির আহবায়ক  ও সাবেক কপিলমুনি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শেখ আনারুল ইসলাম, সাংবাদিক শেখ দীন মাহমুদ। কপিলমুনি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে মাওঃ বুলবুল আহম্মেদ, বিএনপি নেতা শেখ আবু তালেব, আজাদ বিশ্বাস, আঃ আজিজ বিশ্বাস, বিনোদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি দিপংকর সাহা, সাবেক প্রেসক্লাবের সভাপতি হেদায়েত আলী টুকু, তপন পাল, মিন্টু অধিকারী, স াংবাদিক নজরুল ইসলাম, রামপ্রসাদ কর্মকার, শেখ খায়রুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ আব্দুল কাদের, ফরিজুল ইসলাম সহ সীমান্তবর্তী ৩ উপজেলার (পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, তালা) বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 
স্থানীয়রা জানায়, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর তৎকালীন সময়ে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ এক্স-রে মেশিন স্থাপন করেন রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু। ওই সময়ে খুলনা সদর হাসপাতালেও উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন এক্স-রে মেশিন ছিল না। ফলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিশেষ অনুরোধে ভরত চন্দ্র হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি সদর হাসপাতালে নিজ খরচে ভবন নির্মাণসহ প্রতিস্থাপন করা হয়, যা আজও দৃশ্যমান।
প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার পর প্রাথমিকভাবে এটি ভরত চন্দ্র দাতব্য চিকিৎসালয় এবং ভরত চন্দ্র হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে, ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার এটি জাতীয়করণ করে এবং ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তর করে। হাসপাতালটি বিস্তীর্র্ণ অঞ্চলের প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু। সর্বশেষ রবিবার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী এ হাসপাতালটি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ