খুলনা | বুধবার | ০৯ জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

আশাশুনিতেও দুর্যোগ, পানির নিচে ১১ ইউনিয়ন

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি |
০১:৫৯ এ.এম | ০৯ জুলাই ২০২৫


আশাশুনি উপজেলায় সাতদিনের টানা মুষলধারায় বৃষ্টিপাতে অধিকাংশ এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার হয়েছে। জনবসতি, মৎস্য ঘের, সবজি ক্ষেত জলমগ্ন ও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধ হুমকীর মুখে পড়েছে।  
উপজেলার কুল্যা, দরগাহপুর, শ্রীউলা, বুধহাটা, খাজরা, প্রতাপনগর, বড়দল, আনুলিয়া, শোভনালীসহ ১১টি ইউনিয়নে পানি ঢুকেছে ঘরবাড়িতে। ডুবে গেছে রান্নাঘর, টিউবওয়েল, পুকুর, মাছের ঘের ও সবজির ক্ষেত।
নৈকাটি গ্রামের জামায়াত নেতা মাওঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি অনেক জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। বুধহাটা বিলের পানি সরানোর জন্য পেট্রোল পাম্পের কাছ থেকে খালের পরিমাটি অপসারন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। বুধহাটা, নওয়াপড়া, শ্বেতপুর, মহেশ্বরকাটি, বেউলা এলাকার পানি গুড়গুড়ি দিয়ে মরিচ্চাপ নদীতে ফেলানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বুধহাটা ইউনিয়নের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বেতনা নদী খনন অসম্পূর্ণ থাকায় এবং নদীর প্রবাহ বন্ধ থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। খালের স্বাভাবিক প্রবাহও বন্ধ করে দিয়েছেন ঘের মালিকরা।’
প্রভাষক ইয়াহিয়া ইকবাল মনে করেন, ঘেরের পাশে নেটপাটা অপসারণ, পুরনো ম্যাপ অনুযায়ী নদী-খাল খনন, বিকল স্লুইস গেট সংস্কার ও দুর্নীতি দমন ছাড়া কোনো স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ এলাকায় টিউবওয়েল ডুবে গেছে। ফলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। অনেক পরিবার রান্না বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র যাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে বেশির ভাগ ঘের হুমকির মুখে। অনেক ঘের ভেসে গেছে। ঘের মালিকরা নেট জাল টেনে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।’
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খনন, খাল সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলমান। পানি নিষ্কাশনে বাধা থাকলেও দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বিভিন্ন স্থানে নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। হুমকিতে থাকা বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি বলেন আশাশুনি বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খনন, খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে। এজন্য এলাকার পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হচ্ছে। দুর্যোগ কাটাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।

্রিন্ট

আরও সংবদ