খুলনা | শুক্রবার | ১১ জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে : মামুনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
০২:০৯ এ.এম | ১১ জুলাই ২০২৫


বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ আর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশনে চলবে না। আমরা দিলি­র গোলামী ছিন্ন করেছি, ওয়াশিংটনের গোলামী করার জন্য নয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র ও যে কোনো পরিকল্পনা প্রয়োজনে আমরা রাজপথে ফের রক্ত দিয়ে রুখে দেবো।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা গণহত্যা,  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খেলাফত মজলিস জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। যা অতীতের তথাকথিত ফেয়ার ইলেকশন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট বোঝা যায়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই অবৈধ নির্বাচনের কারণেই ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়। এ কারণে চলমান নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে। তা না হলে একই পদ্ধতির নির্বাচনে নতুন করে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা নামক ভারতীয় প্রেসক্রিপশনগুলো ভারতকে ফেরত দিতে হবে। তিনি রাজপথের সকল ঐক্যকে অবিচ্ছেদ্য রাখার আহŸান জানিয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে আরও উদার হওয়ার আহŸান জানান। তিনি বলেন, যদি ঐক্য বিনষ্টের কারণে আবার সেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ পায়, তাহলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। পারস্পরিক প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা যেন বিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ার না হয়।
খেলাফত মজলিসের আমির ঘোষণা করেন, দেশ বিরোধী এবং ইসলাম বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে খেলাফত মজলিস কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবে। তিনি আরও উলে­খ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও জুলাই ঘোষণাপত্র আজও ঘোষণা হয়নি, যার দায় বর্তমান সরকারের। তিনি এই জুলাইয়ের মধ্যেই কাক্সিক্ষত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানান।
খেলাফত মজলিস যশোরের সভাপতি আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল­া আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়ামতউল­াহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীরা।

্রিন্ট

আরও সংবদ