খুলনা | শনিবার | ১২ জুলাই ২০২৫ | ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক- অভিনেত্রীর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যা পাওয়া গেল

খবর বিনোদন |
০৪:০৯ পি.এম | ১২ জুলাই ২০২৫


প্রতিরক্ষা আবাসনের একটি বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের পচা-গলা মরদেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি ছিল, সপ্তাহ খানেক আগে মৃত্যু হয়েছিল তার।

কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য! ৯ সপ্তাহ আগে নয়, প্রায় ৮-১০ মাস আগে মারা গিয়েছিলেন হুমাইরা। মৃতদেহে পচন ধরেছিল।

জানা গেছে, করাচির ওই আবাসনে দীর্ঘ দিন ভাড়া না মেটানোয় ফ্ল্যাট মালিক আদালতে মামলা করেছিলেন অভিনেত্রীর নামে। সমনের উত্তর না মেলায় পুলিশ হানা দেয় ফ্ল্যাটে।

মূল দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেই দেখা যায়, মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে হুমাইরার দেহ। চারপাশে পোকায় ভর্তি মৃতদেহ একেবারে পচে গলে গিয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, শুধু মূল দরজা নয়, ফ্ল্যাটের বারান্দার দরজাও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ফলে বাইরে থেকে কেউ ঢুকে খুন করেছেন, এমন সন্দেহ প্রথমেই উড়িয়ে দেওয়া হয়।

তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হুমাইরার অস্থিমজ্জা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মস্তিষ্ক পচে গেছে, দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কালো হয়ে গেছে। আঙুল ও নখের কোনও চিহ্ন নেই, মাংস গলে বেরিয়ে এসেছে হাড়। মেরুদণ্ডের হাড় থাকলেও সুষুম্না নাড়ির অস্তিত্ব নেই। হাড়ের উপর কালো চামড়ার স্তর ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। শরীরে বাদামি পোকা জন্মেছে বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।

শুরুর দিকে অভিনেত্রীর পরিবারের কেউ মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল,  অভিনয় করে নাকি বংশের মানসম্মান নষ্ট করেছিলেন হুমাইরা। যে কারণে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কোনো যোগাযোগ ছিল না পরিবারের।

যদিও শুক্রবার অভিনেত্রীর মরদেহ গ্রহণের পর দাফন করেছে পরিবার।

এদিকে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতদেহে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কোনও হাড়ও ভাঙা নেই। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।

্রিন্ট

আরও সংবদ