খুলনা | রবিবার | ১৩ জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

যশোরে চারটি মারামারির ঘটনায় ১৫ জন আসামি, আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
১২:৩৬ এ.এম | ১৩ জুলাই ২০২৫


যশোরের আলাদা ৪টি স্থানে মারামারির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ৪টি মামলা হয়েছে। এই মামলায় মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামের ওয়াজেদ আলী বিশ্বাসের দায়ের করা মামলার আসামিরা হলো একই গ্রামের বজলুর রহমান ও দুই ছেলে বখতিয়ার এবং পিয়াল, আজিজুর রহমানের ছেলে রুবেল হোসেন। এদের মধ্যে রুবেলকে আটক করেছে পুলিশ।  
এজাহারে ওয়াজেদ আলী উলে­খ করেছেন, তার ভাই মোশারফ হোসেনের ঘুরুলিয়া বাজারে ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান আছে। তার ভাইয়ের সাথে আসামিদের আগে থেকে শত্র“তা চলে আসছিল। গত ১১ জুলাই রাত সোয়া ৮টার দিকে আসামিরা অতর্কিত ভাবে তার ভাইয়ের দোকানে হামলা চালায়। তাকে মারপিটে জখম করে ক্যাশ বাক্স থেকে ৭৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। সে সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা একটি হাতুড়ি ও গাছি দা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  
শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোডস্থ লিচুবাগান এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী পারুল বেগমের দায়েরকরা মামলার আসামিরা হলো, একই এলাকার শেখ রিপন ও তার স্ত্রী সাবিনা বেগম এবং ছেলে রিফাত আহমেদ সানিপ, আমবাগান এলাকার আমির হোসেনের ছেলে সম্রাট এবং একই এলাকার আলমগীর হোসেন।
এজাহারে পারুল উলে­খ করেছেন, তার ছেলে শাকিল (২৩) একটি ফার্মেসীতে কাজ কাজ করে। গত ৯ জুলাই বিকেলে তার ছেলে বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। ববির বাড়ির সামনে পৌঁছালে আসামিরা তার ছেলেকে ঘিরে ধরে। এবং লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিটে জখম করে। তার পকেট থেকে দেড় হাজার টাকা কেড়ে নেয়। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এই মামলায় পুলিশ শেখ রিপনকে আটক করেছে। 
বাঘারপাড়া উপজেলার বারভাগ গ্রামের মুসা মোল­ার ছেলে রাইসুল ইসলামের দায়েরকরা মামলার আসামিরা হলো, যশোর শহরের নাজির শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার মোক্তার মোল­ার ছেলে আল-আমিন এবং বিল­াল হোসেনের ছেলে নয়ন।
এজাহারে রাইসুল ইসলাম উলে­খ করেছেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি সদর উপজেলার বসুন্দিয়া বাজারে ছিলেন। সে সময় উলে­খিত ওই আসামি ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ৫ জন তার কাছে যায়। এবং তাকে ডেকে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে। তার কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা এবং একভরি ওজনের একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাকে ঘরে আটকে রেখে আসামিরা চলে যায়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে এবং যশোর জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করে। এই মামলায় পুলিশ আল-আমিনকে আটক করেছে।
শহরের বেজপাড়া বিহারী কলোনী এলাকার খুরশিদ আলমের মেয়ে চাঁদনী খাতুনের দায়েরকরা মামলার আসামিরা হলো, হাবিব ও তার স্ত্রী শিল্পী, নাসিমের স্ত্রী ডলি এবং সোহরাবের ছেলে শাহাদৎ হোসেন।  
এজাহারে চাঁদনী খাতুন উলে­খ করেছেন, আসামি আর তাদের বাড়ি পাশাপাশি। তারা হঠাৎ করে সরকারি ম্যাপে বর্ণিত রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে তাদের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়। গত ৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে এ নিয়ে আসামিদের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় হঠাৎ করে তার ওপর আক্রমণ করে বসে। তাকে মারপিটে জখম করে। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলে এবং শ্লীলতাহানী ঘটনায়। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন এবং থানায় মামলা করেন।  

্রিন্ট

আরও সংবদ