খুলনা | রবিবার | ১৩ জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

মিটফোর্ড হত্যাকান্ডে মূল তিন আসামিকে বাদ দেওয়া ‘রহস্যজনক’

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৫ এ.এম | ১৩ জুলাই ২০২৫


পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে মাথা থেঁতলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল আসামিদের অদ্যাবধি গ্রেফতার না করা এবং মামলা এজহার থেকে মূল তিন আসামিকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা ‘রহস্যজনক’ বলে মনে করছে বিএনপি’র তিন সংগঠন যথাক্রমে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল। শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠনের পক্ষে যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না এসব কথা বলেন।
মুন্না বলেন, ‘এই ঘটনায় যারা সরাসরি সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে যাদের দেখা গেছে, রহস্যজনকভাবে তাদের মামলার প্রধান আসামি করা হয়নি। যারা প্রাণঘাতী আঘাতগুলো করেছে, তারা এখন পর্যন্ত গ্রেফতারও হয়নি। এর কারণ আমাদের বোধগম্য নয়।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে মামলার এজাহারে উলে­খিত বাদীর মেয়ে বলেছেন, মামলার এজহারে খুনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তিনজনকে পুলিশ কৌশলে বাদ দিয়ে নিরাপরাধ তিনজনকে আসামি করেছে। ঘটনার ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও খুনের প্রমাণাদি হাতে থাকার সত্তে¡ও অদ্যাবধি মূল আসামিদের গ্রেফতার করা গেল না। এটা একটি বিরাট প্রশ্ন ও রহস্য।
মুন্না বলেন, ‘গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরাও জানতে চাই, কারা কেন এই তিন আসামিকে বাদ দিয়ে নতুন করে অন্য কাউকে আসামি করল। আর ঘটনাটি বুধবারের। শুক্রবার এই ঘটনা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। দুইদিন আগে ঘটনা কেন দুই দিন প্রচার হলো, এর পেছনে কারা জড়িত সেটাও খুঁজে দেখা উচিত। দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে এই প্রশ্নটি দেখে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
এম মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। রাজধানীর চকবাজার থানার ব্যবসায়ী ও যুবদল কর্মী মোহাম্মদ সোহাগকে প্রকাশ্য দিবালোকে অত্যন্ত নৃশংস কায়দায় নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে। এই নৃশংস বর্বরতা প্রত্যক্ষ করে সমস্ত জাতি স্তম্ভিত। আমি এই নৃশংসতার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। সভ্যতার এই যুগে এমন আদিম বর্বরতা আমরা কোনো ভাবে মেনে নিতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইন্ধনদাতা হিসেবে যাদের নাম এসেছে, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে আমাদের তিন সংগঠনের পাঁচজনকে গতকাল আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহŸান জানিয়েছি অতি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য। সাংগঠনিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার দিক থেকে যা কিছু প্রয়োজন আমরা সেই ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ