আওয়ামী ফ্যাসিবাদী অপশক্তি গণতন্ত্র মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, আওয়ামী লীগসহ গণহত্যায় জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা দেশের মানুষকে গণহত্যা করেছে, তাদের বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। শেখ মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। হাসিনা গণতন্ত্রের মোড়কে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। শাপলা চত্বর, পিলখানা হত্যাকান্ড ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার চালিয়েছে। লাখ লাখ মামলা দিয়ে বিএনপি ও লেবার পার্টিসহ সমমনা রাজনৈতিক শক্তির নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা করছে। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মহানগর লেবার পার্টি আয়োজিত রক্তাক্ত জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মহানগর প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা মহানগর সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারের শত্র“। জনগণের মুক্তি ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। লুটপাট, দুর্নীতি, গুম-খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের অঙ্গীকার। এ জন্য সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ এ এস এম সাইফুদ্দোহার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ টিপু সুলতানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির আরো বক্তৃতা করেন খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. মোঃ আব্দুল­াহ হোসেন বাচ্চু, লেবার পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান এড. জহুরা খাতুন জুই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, নগর বিএনপি নেতা কে এম বদরুল আলম খান, দৈনিক আমার দেশের ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন, ইউএনবি’র ব্যুরো চীফ শেখ দিদারুল আলম, লেবার পার্টির দপ্তর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান, ঢাকা মহানগর আহŸায়ক মোঃ মাসুম চৌধুরী, পিরোজপুর জেলা সমন্বয়ক মোঃ ইলিয়াস হোসেন মাঝি, চুয়াডাঙ্গা জেলা সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম মিঠু, যশোর জেলা সদস্য সচিব মোঃ রাজ্জাকুল ইসলাম, যুব মিশন আহবায়ক সালমান খান বাদসা, ছাত্রমিশনের সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন, মহানগর লেবার পার্টির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আসাদুজ্জামান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈনুল ইসলাম মঈন, অধ্যাপক আবদুর রউফ ও বিসিকের সাবেক পরিচালক কামরুল ইসলাম লাভলু প্রমুখ।