খুলনা | সোমবার | ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

নেত্রকোনা থেকে আরও দু’জন গ্রেফতার

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা আরো দুই আসামি রিমান্ডে

খবর প্রতিবেদন |
০২:১৪ এ.এম | ১৪ জুলাই ২০২৫


রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল­াহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মোঃ সোহাগকে নৃশংস হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আসামি মোঃ আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 
রোববার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সেফাতুল­াহ প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে এ মামলায় বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মাহমুদুল হাসান মহিনকে পাঁচ দিনের এবং শনিবার (১২ জুলাই) টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
আরও দু’জন গ্রেফতার : পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ নিয়ে সোহাগ হত্যায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো। রোববার ডিবির যুগ্ম-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুইজনের মধ্যে একজন এজাহারনামীয় সাত নম্বর আসামি সজীব ব্যাপারী। অপরজন ১০ নম্বর আসামি রাজীব ব্যাপারী।
রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সজীব ও রাজীব আপন দুই ভাই। তাদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে সোহাগ হত্যার ঘটনার পর থানা পুলিশ তিনজনকে এবং র‌্যাব দুইজনকে গ্রেফতার করে।
এর আগে শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ভাঙারি ব্যবসা ও দোকানে কারা ব্যবসা করবে, তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোহাগ ও অভিযুক্তরা আগে একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। লেনদেন ও অংশীদারত্ব নিয়ে মতবিরোধ থেকেই এই সহিংসতার সূত্রপাত।
গত ৯ জুলাই (বুধবার) স্যার সলিমুল­াহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন ও টিটন গাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাছাড়া র‌্যাবের পৃথক অভিযানে আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়। 
এদিকে অস্ত্র আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেফতার তারেক রহমান রবিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ