বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জিয়াউর রহমান হাওলাদার (৪৬) নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। রোববার সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর ফেরিঘাট এলাকা থেকে এদের আটক করা হয়। গাড়িতে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান হাওলাদারকে উদ্ধার করে পুলিশ।
অপহৃত ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান হাওলাদার মোরেলগঞ্জ উপজেলার আমতলা এলাকার মজিদ হাওলাদারের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে ভারতে ভাঙারীর ব্যবসা করতেন।  
আটককৃতরা হলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের এইচ এম খলিলুর রহমান (৪২), খুলনার নিরালা গ্রিনভিউ এলাকার এনামুল হকের ছেলে আমিরুজ্জামান খোকন (৫৫), বটিয়াঘাটা থানার দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সত্তার রাজ(৫৫) ও তেঁতুলতলা গ্রামের মোয়াজ্জেম হাওলাদারক(৪০)।
ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান হাওলাদার বলেন, সকালে বাড়ির কাছে আমতলী বাজারে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলাম। একটি হাইয়েক্স গাড়িতে ও ৪-৫টি মোটরসাইকেলে করে ১৫-২০ জন লোক আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাতিতে তুলে নয়। পরে চোখ বেঁধে এক কোটি টাকার চাঁদা দাবি করে।   
স্বজনদের অভিযোগ, সকালে উপজেলার আমতলা দীঘির পাড় এলাকায় চা খাওয়ার সময় জিয়াউর রহমানকে জোর পূর্বক মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে আসেন অপহরণকারীরা। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্র থাকায় স্থানীয়রা কোন বাঁধা দেয়নি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মতলুবর রহমান বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে জানতে পারি ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন খবর শুনে পুলিশের পৃথক দু’টি দল ফেরিঘাটসহ সড়কে তল­াশী শুরু করে। একপর্যায়ে ফেরিঘাটে হালকা কালো রংয়ের একটি হাইয়েক্স গাড়ির (ঢাকা মেট্রো-চ ১২-০০৬১) মধ্যে ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানকে আহত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ গাড়ির চালক ও গাড়িতে থাকা অপহরণকারি চক্রের অপর ৩ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আরও বলেন, অপহরণকারীরা দাবি করেছেন, তাদের সাথে ওই ব্যবসায়ীর লেনদেন রয়েছে। সেটা কতটুকু এবং কতটা যৌক্তিক তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।