খুলনা | মঙ্গলবার | ১৫ জুলাই ২০২৫ | ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি নারীকে যৌনপণ্য বানানোর শামিল : হেফাজতে ইসলাম

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৭ এ.এম | ১৫ জুলাই ২০২৫


পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার মানে নারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘যৌনপণ্য’ বা ‘যৌনদাসী’তে পরিণত করার শামিল। পতিতাবৃত্তি কোনো নারীর জন্য সম্মানজনক ও মানবিক বিষয় নয়। এটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতার ফসল হিসেবে তাদের আর্থ-সামাজিক দুর্ভাগ্য মাত্র। 
সোমবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব কথা বলা হয়েছে। যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের আমির আল­ামা মুহিব্বুল­াহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল­ামা সাজেদুর রহমান।
স¤প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে পতিতাদের মর্যাদা ও স্বীকৃতিস্বরূপ ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। যৌনকর্মী ও সমকামী ট্রান্সজেন্ডারদের পক্ষে কাজ করা ‘নারীপক্ষ’ নামে একটি বিতর্কিত এনজিওর হাতে এই আর্থিক প্রণোদনা তুলে দেওয়া হয়। এই ইস্যুতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিটি প্রদান করেছে হেফাজত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পতিতাদের উপযুক্ত পুনর্বাসনের পরিবর্তে তাদের নিছক খুশি করতে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের অংশ। তাছাড়া পতিতাবৃত্তির নেপথ্যে অবাধ নারী-শিশু পাচার, কর্মসংস্থানের অভাব, নৈতিক অবক্ষয় ও আর্থ-সামাজিক সংকটগুলো মূল কারণ। ফলে তাদের পুনর্বাসন ব্যতীত এ ধরনের প্রণোদনা বিদ্যমান সংকটগুলোকে আরও ঘনীভূত করবে।  
হেফাজত নেতারা বলেন, ইউনূস সরকারের উচিত এনজিও-ফাঁদ থেকে বের হয়ে রাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। জনগণের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, মানবিক অধিকার রক্ষা ও সামাজিক সমস্যা নিরসনের মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হয় সরকারকে। এতে সরকার ব্যর্থ হলে এনজিও-ব্যবসা রমরমা হয়ে ওঠে। এটাও এক ধরনের ঔপনিবেশিক ফাঁদ। এতে বড়জোর কিছু এলিট নারীবাদী ও এনজিও কর্মীর আর্থিক সুবিধা ঘটে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ