মোংলায় নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগে রনি নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মোংলা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ভুক্তভোগী ওই নারীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বেধরক মারধর করে এবং কাউকে কিছু জানালে জীবনে শেষ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগে উলে­খ করা হয়েছে। থানায় মামলা হলেও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে ভুক্তভোগী ওই নারীসহ তার পরিবারের সদস্যদের। 
ভুক্তভোগী ওই নারী ও এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বসবাস করছে ভুক্তভোগী ওই নারী পরিবারের সদস্যরা। একই এলাকায় বসবাস করছে রনিও এবং তার স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বেশ কিছু দিন যাবত ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রনি। কিন্ত তার এ অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় হুমকিও দিতো রনি বলে জানায় সে। 
গত কয়েক দিন আগে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড তার বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। সেখানে বসে ঘরে পাশে গোসল করার সময় গোপান কৌশলে মোবাইল ফোনে তার গোসলে ভিডিও ধারণ করেণ এলাকার রনি নামের এক যুবক। পরে গত ২৮ জুন সকাল ৯টার দিকে সেই ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করতে চাপ সৃষ্টি করে এবং তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বলে। এছাড়া তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করলে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়াও হুমকি দেয় রনি। সে (রনি) একই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। 
এতেও সে রাজি না হলে ওই নারীর স্বামীর বাড়ি গিয়ে সকলে সামনে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক একথা প্রচার করে রনি। পরে মান-সম্মান এবং স্বামীর সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে পিত্রালয় চলে আসে এবং বিষয়টি মা-বাবাকে খুলে বলে ভুক্তভোগী ওই নারী। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে রনিসহ তার দলবল নিয়ে নারীসহ তার মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারধর করে বলে মামলায় উলে­খ করা হয়েছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী (২০) বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে মোংলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ১৪ জুলাই দুপুরে মামলাটি এজাহার ভুক্ত করে পুলিশ। তবে আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে ভুক্তভোগী ওই নারীসহ তার পরিবার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রনি এলাকার বখাটে, তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে এ ধরনের ঘটনার বহু অভিযোগ রয়েছে। গোপনে নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে এভাবে ব্লাকমেইল করা বা জোর পূর্বক তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা এটা মেনে নেয়া যায় না। তাই রনিকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানায় তারা। 
মোংলা থানার ওসি তদন্ত মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে মামলাও নেয়া হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।