খুলনা | বুধবার | ১৬ জুলাই ২০২৫ | ১ শ্রাবণ ১৪৩২

পাইকগাছায় ১০ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস

পাইকগাছা প্রতিনিধি |
১২:৩৩ এ.এম | ১৬ জুলাই ২০২৫


পাইকগাছায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে নার্সারিতে উৎপাদনকৃত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস কর্তৃক আয়োজিত গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের চার নার্সারিতে উৎপাদিত সাড়ে দশ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম রায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার বিশ্বজিৎ দাশ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কমলেশ কুমার দাশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। রজনীগন্ধা নার্সারিতে ২ হাজার ৫শ’, সবুর নার্সারিতে ৪ হাজার, আল-আমিন নার্সারিতে ৩ হাজার এবং ঝর্ণা নার্সারিতে ১ হাজারসহ সাড়ে ১০ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হয়। 
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় সরকার এই গাছগুলির চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে এই গাছ ধ্বংস করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ, উভয়ই দ্রুত বর্ধনশীল এবং মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে। এর কারণে, এই গাছগুলি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও, এই গাছগুলির পাতা সহজে পচে না এবং মাটিতে পড়ে থাকার কারণে পরিবেশ দূষণ করে। তাই, পরিবেশ ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই গাছগুলি ধ্বংস করা হচ্ছে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য উপকারী। 

্রিন্ট

আরও সংবদ