খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৭ জুলাই ২০২৫ | ১ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি ধৈর্যের সঙ্গে সামলানোর চেষ্টা চলছে: আইজিপি

খবর প্রতিবেদন |
০৬:৪২ পি.এম | ১৬ জুলাই ২০২৫


সংঘর্ষে রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি পুলিশ সদস্যরা ধৈর্যের সঙ্গে সামলানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. বাহারুল আলম। সেখানে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান আইজিপি।  

তিনি বলেছেন, ‘উচ্ছৃঙ্খলতা যা হয়েছে, সেটা যতটুকু সম্ভব আমরা ধৈর্যের সঙ্গে প্রশমন করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আরও পুলিশ সদস্য পাঠানোর কাজ করছি। আমরা লিথ্যাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) কোনো কিছু ব্যবহার করছি না, তাই একটু সময় লাগছে।’

এদিকে খবর, গোপালগঞ্জে এখনো উত্তেজনা চলছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে যদিও সেনা-পুলিশ পাহারায় এনসিপির নেতাকর্মীদের গোপালগঞ্জ শহর থেকে বের করে আনা হয়েছে।

বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ছিল। এদিন দুপুর ২টার পর জেলার পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে সমাবেশটি শুরু হয়। সেটি শুরুর আগে বেলা দেড়টার দিকে সমাবেশের মঞ্চে এক দফা হামলার ঘটনা ঘটে।

এরপর সমাবেশ শেষে ফের এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। ভাঙচুর করা হয় নতুন এ দলটির গাড়িবহর। পুলিমের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে হঠাৎ করে মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চে চড়াও হয়। এসময় সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করার পাশাপাশি এনসিপির উপস্থিত নেতাকর্মীদেরও মারধর করে তারা। কিন্তু হামলার পরও সমাবেশে অংশ নেন এনসিপি নেতারা।

পরে সমাবেশ শেষে দুপুরের দিকে আরও এক দফা হামলা চালানো হয়। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। হামলারকারীরা তাদের ওপরও চড়াও হয়। পরে এনসিপির নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ শহরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, এনসিপি নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এছাড়া এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। উভয় নেতা এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ