খুলনা | শুক্রবার | ১৮ জুলাই ২০২৫ | ২ শ্রাবণ ১৪৩২

কালীগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ধীরগতি : পাঠদান ব্যাহত

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি |
১২:২০ এ.এম | ১৮ জুলাই ২০২৫


ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডি কর্তৃক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ নির্মাণে ধীরগতির কারণে চরম বিপাকে পড়েছে ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। বছরের পর বছর পার হলেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। 
উপজেলা এলজিইডি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এবং জিএসপি’র আওতায় ২০২৩/২৪ অর্থ বছরে শুরু হওয়া ১১টি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। এরমধ্যে পিইডিপি-৪ এর আওতায় উপজেলার মনোহরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮০ শতাংশ, চাচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ৯৫ শতাংশ, হেলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন ৬০ শতাংশ, কাকলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উর্দ্ধমূখী অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ ৬০ শতাংশ, বারোবাজার, কোলা বাজার (প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ) ও দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যথাক্রমে ৬০,৪০ এবং ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 
জিপিএস এর আওতাধীন বেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবণ নির্মাণে ৬০ শতাংশ এবং আড়পাড়া শিবনগর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন এর নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত থাকায় ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত নির্মাণের সময়সীমা বাড়িয়েছে এলজিইডি বিভাগ। 
বেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাপলা পারভিন জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবণ নির্মাণে ধীরগতির কারণে পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। একদিকে শ্রেণিকক্ষ সংকট অন্যদিকে নব নির্মিত ভবনের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ সামগ্রী বারান্দায় ও শ্রেণিকক্ষে ফেলে রাখায় আমাদের নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই আমরা যত দ্রুত সম্ভব নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।
৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণকারী ঠিকাদার আশরাফুজ্জামান কালাম বলেন, ২টি ভবণের কাজ প্রায় শেষের দিকে আর ২টি ভবনের গাঁথুনির কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষার জন্য কাজে দেরি হচ্ছে, তবে যতদ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দুভোর্গের কোন অন্ত নেই। স্ব স্ব বিদ্যালয়গুলোর কাজের বর্তমান পরিস্থিতি আমি আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের  জানিয়েছি।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সৈয়দ শাহারিয়ার আকাশ জানান, ফান্ড সমস্যা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বর্ষার কারণে কাজ যথা সময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। ইতমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় হস্তান্তর করেছি। আশাকরছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে এবং সেগুলো হস্তান্তর করতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে আমি এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

্রিন্ট

আরও সংবদ