খুলনা | শুক্রবার | ১৮ জুলাই ২০২৫ | ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

রায়েরমহল-কৈয়া সড়ক সংস্কারের দু’মাস না যেতেই অসংখ্য খানাখন্দ

এস এ জাহাঙ্গীর আলম |
০২:৪৭ এ.এম | ১৮ জুলাই ২০২৫


দু’মাস না যেতেই খানাখন্দ। অনেক জায়গা ঢেউ খেলানো। কার্পেটিং উঠে হয়েছে বড় বড় গর্ত। খুলনার প্রাণ কেন্দ্র রায়েরমহল-কৈয়া বাজার সড়কের এ বেহাল দশা। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ এবং তদারকি না করার কারণে সংস্কারের অল্প দিনের মধ্যে এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।  
জানা যায়, এলজিইডি  রায়েরমহল-কৈয়া বাজারের মোস্তফার মোড় থেকে কৈয়া বাজার অভিমুখে ৬ কিলোমিটার সড়কটি দুই উপজেলা ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটার সীমান্ত রয়েছে। মোস্তফার মোড় থেকে রাজবাঁধ কালভার্ট পর্যন্ত ডুমুরিয়া উপজেলার অংশে ৩.৮ কিলোমিটার। সেখান থেকে কৈয়া বাজার পর্যন্ত বটিয়াঘাটা উপজেলার অংশে ২.১ কিলোমিটার। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে “ঘুর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল­ী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন” প্রকল্পের আওতায় মোস্তফার মোড় থেকে ৩.২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে চুক্তিমূল্য ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৬ টাকা। ওই কাজ শুরুর বছর খানেক গড়িমসির পর সময় বাড়িয়ে ঠিকাদার কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই অনেক জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পড়ে। স¤প্রতি চলতি বর্ষা মৌসুমে কার্পেটিং উঠে ওইসব গর্তগুলো ক্রমান্বয়ে আরো বড় হচ্ছে। 
এছাড়া সড়কটি জিওবি অর্থায়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের কাজ মেয়াদ বাড়িয়ে ফলইমারি মাদ্রাসা থেকে রাজবাঁধ কালভার্ট পর্যন্ত ৮০ লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দে ৬০০ মিটার এবং রাজবাঁধ কালভার্ট থেকে কৈয়া বাজার পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা বরাদ্দে ২১০০ মিটার (২.১ কিলো) পর্যন্ত সদ্য সংস্কার করা হয়। সংস্কারের দু’মাস না যেতেই গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রাজবাঁধ থেকে কৈয়া বাজার পর্যন্ত বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়ে পড়েছে। 
এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের বিটুমিন, খোয়া ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের সময় একাধিকবার ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কারো কোন কথার তোয়াক্কা না করে এ কাজ করা হয়েছে। যে কারণে দু’মাস না যেতেই সড়কে এসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের মাঝে উঁচু থাকার কথা থাকলেও এই রাস্তাটির মাঝে নিচু হয়েছে। যে কারণে বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ দারুল হুদা জানান, কাপেটিং উঠে বেশ কয়েক জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামত করা হবে। এছাড়া  প্লান্ট মেশিন এবং বিটুমিন এর মান যাচাইয়ে বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষার কাজ চলছে। 
বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী গৌতম কুমার মন্ডল জানান, সড়কের নিচু অংশ উঁচুসহ ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামত করা হবে। তবে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে বৃষ্টির মধ্যেও তড়িঘড়ি করে গর্ত পূরণের চেষ্টা চলছে।   

্রিন্ট

আরও সংবদ