খুলনা | সোমবার | ২১ জুলাই ২০২৫ | ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে: জামায়াত আমির

খবর প্রতিবেদন |
০৬:০৪ পি.এম | ১৯ জুলাই ২০২৫


জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমি বলতে চাই আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে? আমি বলব আরেকটা লড়াই হবে ইনশাআল্লাহ। একটা লড়াই হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, এই দুর্নীতির মূল উৎপাটনের জন্য যা করা দরকার, আমরা তারুণ্য ও যৌবনের শক্তিকে একত্র করে সেই লড়াইয়েও ইনশাআল্লাহ বিজয় লাভ করব।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে গরমে অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান ডা. শফিকুর রহমান। এরপর আশপাশে থাকা নেতাকর্মীরা দ্রুত এসে তাকে উঠিয়ে দিলে তিনি ফের বক্তব্য শুরু করেন। এরপর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি কথা বলতে শুরু করে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জামায়াতের চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। তৎপর হয়ে উঠেন স্বেচ্ছাসেবকরা। একপর্যায়ে তিনি বসে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন ততসময় লড়াই অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। মুক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে। যদি মানুষের সেবা করার সুযোগ পাই তাহলে মালিক হব না, সেবক হবো।

জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতে ইসলাম সরকার গঠন করলে কোনো দুর্নীতি করবে না, শুল্ক দিয়েই গাড়িতে চড়বে।

শাসনক্ষমতায় গেলে কী করবেন, তা জানিয়ে তিনি ডা. শফিক বলেন, জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে ইনশাআল্লাহ।

স্টেজে বসে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী থেকে আগামীতে যারা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেন তাহলে কোনো এমপি ও মন্ত্রী সরকারি প্লট গ্রহণ করবেন না, ট্যাক্সবিহীন কোনো গাড়িতে চড়বেন না, নিজের হাতে টাকা চালাচালি করবেন না, নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য বরাদ্দ পেয়ে থাকেন তাহলে কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ১৮ কোটি মানুষের সামনে প্রতিবেদন তুলে ধরতে বাধ্য হবেন।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে, তার প্রমাণ কী? সবাইকে নিয়েই তা গড়ে তুলব। আমরা কথা দিচ্ছি, মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে।

বক্তব্যে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমার আফসোস, যারা ২০২৪ সালে শহীদ হয়েছেন, আমি তাদের সঙ্গে শহীদ হতে পারিনি। আপনাদের কাছে দোয়া চাই- আগামী দিনের ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে আল্লাহ যেন আমাকে শহীদের মর্যাদা দেন।

জামায়াত আমির বলেন, আমি এখানে জামায়াতের আমির হিসেবে নয়, ১৮ কোটি মানুষের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। শিশুদের বন্ধু, যুবকদের ভাই, প্রবীণদের সহযোদ্ধা হয়ে এসেছি, এই জাতির মুক্তির প্রত্যয়ে।

তরুণ প্রজন্মকে বিশেষভাবে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা শুধু দর্শক হয়ে থাকবে না, এই দেশ গঠনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। এটা শুধু কোনো শ্রেণির যুদ্ধ নয়, এটা চাষি, মজুর, ছাত্র, যুবক—সব শ্রেণির মানুষের যুদ্ধ।

ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে ২০২৪ সালে সংঘটিত ‘গণহত্যার’ বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, যে নির্মমতা চালানো হয়েছে, তার বিচার এই দেশের মাটিতেই হতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ