খুলনা | সোমবার | ২১ জুলাই ২০২৫ | ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হলো

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি |
০১:২৫ এ.এম | ২১ জুলাই ২০২৫


গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার সন্ধ্যায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (জেলা প্রশাসক) মিডিয়া সেলে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার রাত ৮টার পর গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা ও কারফিউ বলবৎ থাকবে না। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা-পূর্বক পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, অপরাধীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
এর আগে, গত ১৬ জুলাই বুধবার এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। দিনভর হামলা-সহিংসতায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে ওইদিন রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।
এরপর দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত কারফিউর সময়সীমা বাড়ানো হয়। মাঝে  তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউর সময় বাড়ানো হয়। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। 
সর্বশেষ জেলা প্রশাসক জানান, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এরপর রোববার ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
দেখা গেছে, কিছুটা ভীতি কাটিয়ে মানুষ জীবিকার খোঁজে ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছে। দোকানপাটও ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। তবে গ্রেফতারের আতঙ্ক এখনো কাটেনি।
গত ১৬ জুলাই এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনার পর এখন পর্যন্ত চারটি মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
রোববার সকালেও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় সেনাবাহিনীর এপিসি, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দেখা গেছে। রাতেও জেলাজুড়ে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। তবে গ্রেফতার সংক্রান্ত কোনো তথ্য নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

্রিন্ট

আরও সংবদ