খুলনা | সোমবার | ২১ জুলাই ২০২৫ | ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার অফিসের কর্মকর্তার পরিচয়ে বটিয়াঘাটা ভূমি অফিসে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা দাবি

বটিয়াঘাট প্রতিনিধি |
০১:৪১ এ.এম | ২১ জুলাই ২০২৫


প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের কর্মকর্তার পরিচয়ে বটিয়াঘাটার ভূমি অফিসের নাজির সাইফুল ইসলামের কাছে  মোবাইলে টাকা চেয়েছেন এক ব্যক্তি। ২০ হাজার টাকা  চেয়েছে ০১৭২৭৫৩০১০৩ নাম্বারে থেকে নাজিরের  মোবাইলে কল করা হয়, গতকাল রোববার। 
জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার বরাবর টাইপকৃত একটি অভিযোগের ছবি পাঠিয়ে ফোনে জানিয়েছে ২০ হাজার টাকা টাকা দিলে এই অভিযোগ আটকে দেয়া হবে। তিনি নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেও দাবি করেন। কিন্তু অভিযোগকৃত প্যাডে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের কোনো সিল বা স্বাক্ষর ছিলো না। ট্রু কলারে ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলে জানা যায় উক্ত ব্যক্তির নাম খায়রুল ইসলাম। মুঠোফোনে তার নাম জানতে চাইলে তিনি নিজেকে খায়রুল ইসলাম বলে পরিচয় দেন এবং ঢাকার একজন ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন। ভূমি অফিসের কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবি করায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 
বিষয়টি জানতে চাইলে বটিয়াঘাটার সহকারি কমিশনার (ভূমি) শোয়েব সাত ঈল ইভান বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে এবং আমি বিব্রত হয়েছি। আমার ধারণা টাকা চাওয়া ব্যক্তি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের কেউ নন।  অফিসে টাকা চাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন বটিয়াঘাটায় যোগদান করেন বটিয়াঘাটার সহকারি কমিশনার (ভূমি) শোয়েব সাত ঈল ইভান। উপজেলার বারভূঁইয়া মৌজায় ভূমিদস্যুরা সরকারি খাল অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধ কেটে এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন করেছেন। এছাড়া সুরখালির নাইনখালি, ভান্ডার কোটের গোগের খাল, বালিয়াডাঙ্গার, নোয়াপাকিয়া খালসহ বিভিন্ন খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এছাড়াও তার অফিসে সাধারণ মানুষ সেবা নিতে আসলে কোনো জটিলতা হলে তিনি নিজে মনোযোগ সহকারে শুনে তা সমাধান করে দিচ্ছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ