৩ ঘন্টা তালাবদ্ধ ছিলো ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ। অনিয়ম, দুর্নীতি ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জনসাধারণকে হেনন্ত করার অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত এলাকার শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসি রানী রায় যেয়ে তালা খুলে দেন। ওই সময় পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যহত হয়েছে। এরপর এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলুর পদত্যাগের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ করেন।   
জানা যায়, ১১নং ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু। তিনি ২০১৬ সালে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরপর দুই মেয়াদে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। স¤প্রতি তার বিরুদ্ধে বিগত দিনে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জনসাধারণকে জিম্মি করে হয়রানীর অভিযোগ ওঠে। তারই জেরে বিএনপি সমর্থিত শতাধিক লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ইউপি কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে তালাবদ্ধ করেন। 
পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হরিদাস কুন্ডু জানান, বিএনপি কিছু লোকজন সকালে পরিষদে এসে }} ২ পাতার ০ কলাম
চেয়ারম্যান সাহেব আছে কিনা জানতে চায়। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়নমূলক কাজে চেয়ারম্যানকে সবাইয়ের অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়ে কাজ করার কথা বলেন তারা। এর কিছুক্ষণ পরে আমাদেরকে বলে অফিস কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে। আমরা তালাবদ্ধ করে ইউএনও অফিসে যাই। পরে দেখি আমাদের তালার পাশে ডাবল তালা মেরে দিয়েছে। তবে তারা আমাদের সাথে কোন ধরণের খারাপ আচরণ করেনি। 
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ করেছে আশাকরি তদন্ত হলে সব মিথ্যা প্রমাণিত হবে। তিনি বলেন, স¤প্রতি আরাজি ডুমুরিয়ায় একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে জনৈক পারভেজ গাজীর সাথে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। অনৈতিকভাবে রাস্তার কিছু ইট নিয়েছেন তিনি এবং আরো দাবি করছেন। যেটা না দেওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, পরিষদের তালা খুলে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উলে­খ্য, গাজী হুমায়ুন কবির বুলু ২০১৫ সালে ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক এবং জেলা বিএনপি’র তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি তৎকালীন বিএনপি’র মতবিরোধের কারণে দল ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে আওয়ামী সরকারের শাসনামলে সাবেকমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দসহ আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতৈক্যর জেরে ২০২২ সালে তার পরিচালনাধীন হাসেম আলী মৎস্য ও পাইকারী কাঁচাবাজারের দ্বিতলা ভবন ভেঙ্গে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়।