খুলনা | শনিবার | ২৬ জুলাই ২০২৫ | ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৩ এ.এম | ২৫ জুলাই ২০২৫


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছানাউল­্যাহ।
এর আগে, খায়রুল হককে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ডিবির সাদা মাইক্রো গাড়িতে আনা হয় তাকে। এসময় গাড়ির সামনে ও পেছনে পুলিশের গাড়িতে কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়। খায়রুল হককে আনার সাথে সাথে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ‘খায়রুলের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ শ্লোগান দিতে দেখা যায়। এরপর গাড়ি হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছানাউল­্যাহর আদালতে কড়া পুলিশী নিরাপত্তায় হাজির করা হয়।
এরপর যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক খালেদ হাসান আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ কারাগারে আটক রাখার জোর দাবি জানান। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে এদিন সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা আলা উদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় খায়রুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জানা যায়, দেশের ঊনবিংশতম প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দু’টি মামলা রয়েছে। দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
এর আগে ২৫ আগস্ট খায়রুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল­া থানায় মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল­া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া। মামলায় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।
এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়। তার মধ্য দিয়ে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ হয়ে যায়।
খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৩ আগস্ট আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন খায়রুল হক।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ