খুলনা | রবিবার | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত ৪, ইউপিডিএফের অস্বীকার

খবর প্রতিবেদন |
০১:২০ এ.এম | ২৭ জুলাই ২০২৫


খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দু’টি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার জোড়া সিন্ধু কার্বারিপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর খবর জানালেও তাঁদের নাম নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। দীঘিনালায় জেএসএস ও ইউপিডিএফের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। 
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র বলছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাত আটটার দিকে এই দুই সংগঠনের দু’টি দল সিন্ধু কার্বারিপাড়া এলাকায় মুখোমুখি হলে দুইপক্ষই গুলি করে।
পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় ইউপিডিএফের সামরিক শাখার (‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’) চার সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। ইউপিডিএফের সশস্ত্র গ্রুপ কমান্ডার বিপ্লব চাকমার নেতৃত্বে ৪০-৪৫ জনের একটি দল এবং জেএসএসের সশস্ত্র কমান্ডার জয়দেব চাকমার নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জনের আরেকটি দল জোড়াসিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় মুখোমুখি হয়। এরপর দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। এতে ইউপিডিএফ (প্রসিত)-এর সামরিক শাখা ‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’র চার সদস্য নিহত হরার কথা দাবি করা হলেও নিহতদের নাম-ঠিকানা কিংবা মৃত্যুর বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করেনি।
তবে পুলিশের এই দাবি অস্বীকার করেন ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, তাঁদের দলের চারজন নিহত হয়েছেন বলে যে খবর প্রচারিত হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। গোলাগুলির ঘটনার কোনো তথ্য ইউপিডিএফের জানা নেই। আবার ইউপিডিএফের ‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ নামে কোনো সামরিক শাখা থাকার প্রশ্নই আসে না। এটি অবান্তর ও কাল্পনিক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অংগ্য মারমা দাবি করেন, ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারে নেমেছে।
নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের মুখপাত্র অংগ্য মারমা জানান, দীঘিনালার নাড়াইছড়িতে ইউপিডিএফের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তাদের কোনো কর্মী নিহতও হয়নি। এ খবর সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে অংগ্য মারমা বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা তাদের দলের সঙ্গে ঘটেনি। অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকারিয়া বলেন, জোড়াসিন্ধু কারবারিপাড়া এলাকায় লোকমুখে গোলাগুলির খবর পেয়েছি। এলাকাটি দুর্গম হওয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। ইউপিডিএফ জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা গুলিবিনিময় এবং ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি গুজব বলে দাবি করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ