খুলনা | বুধবার | ০৬ অগাস্ট ২০২৫ | ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

বিবাহিত ছাত্রীকে ক্লাসে ঢুকতে দিলেন না প্রধান শিক্ষক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি |
০৬:১৩ পি.এম | ২৯ জুলাই ২০২৫


ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের রিনা আক্তার মনিরা। সদ্য বিবাহিত এক কিশোরী। চোখে ছিল শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু বাবার অকাল মৃত্যু আর সংসারের টানাপোড়েনে সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। শেষমেশ বাধ্য হয়েই বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে।

গত ২০ জুলাই মাকে সঙ্গে নিয়ে মনিরা যান স্বরুপপুর কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল রহমান তাকে ক্লাসে বসতে দেননি। তিনি বলেন, ‘বিবাহিত মেয়েরা স্কুলে পড়তে পারবে না।’

মনিরা ও তার মা অনেক অনুরোধ করলেও প্রধান শিক্ষক সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। পরে তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো সমাধান হয়নি।

মনিরা বলেন, ‘আমি শিক্ষক হতে চাই। বিয়ে হয়েছে বলেই কি আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে? আমি স্কুলে ফিরতে চাই।’

এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা কোনো সরকারি নির্দেশনায় নেই যে বিবাহিত শিক্ষার্থী স্কুলে পড়তে পারবে না। প্রধান শিক্ষক নিজের নিয়ম করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মমিনুল রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়ম মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মনিরার একটাই চাওয়া ‘আমি যেন আর দশটা শিক্ষার্থীর মতো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারি। আমার স্বপ্ন যেন থেমে না যায়।’
 

্রিন্ট

আরও সংবদ