খুলনা | বৃহস্পতিবার | ৩১ জুলাই ২০২৫ | ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ঝিনাইদহে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে চরমোনাই পীর

‘প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যার বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি |
১২:৪৬ এ.এম | ৩০ জুলাই ২০২৫


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে মেঘ বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শহরের পায়রা চত্বরে এ গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় গণসমাবেশের মঞ্চে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ ৭১ এ স্বাধীন করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের জীবনকে হারিয়েছিল, পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল, যে আশা লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়ে। সেটি ছিল মূলত তিনটা শ্লোগানের মাধ্যমে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবিক মর্যাদা। কিন্তু  ’৭১ পরবর্তী যারা দেশ পরিচালনা করেছে তাদের থেকে আমরা চোরের দিক থেকে তামাম দুনিয়ায় পাঁচ বার প্রথম হয়েছি। 
তিনি বলেন, ন্যায়ের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিবাদে যখন আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তানগুলো বৈষম্যবিরোধী আওয়াজ তুলেছে তখন আমরা দেখেছি তাদেরকে ঠান্ডা মাথায় পাখিরমত গুলি করে রাস্তায় লুটিয়ে ফেলা হলো। আপনারা দেখেছেন মা চিৎকার করে কাঁদছে আর বার বার বলছেন আজকে কয়দিন পর্যন্ত আমার সন্তান আমাকে মা মা বলে ডাকছে না। সেই শব্দ এখনো আমাদের কানে ভাসছে।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখা এই গণসমাবশের আয়োজন করে।পীর সাহেব চরমোনাই বর্তমান সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে এবং টাকা পাচারকারী ও খুনিদের, গুমিদের, জালিমদের, বদমায়েশদের, গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ও ঝিনাইদহ ২ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ডাঃ এইচ এম মোমতাজুল করীম। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আওয়াল, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্য সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোইব হোসেন, খুলনা বিভাঘীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতি আহমাদ আব্দুল জলিল।
সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন মাস্টার শরিফুল ইসলাম। এছাড়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা করেন, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মুফতি মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন, মুফতি মোহাম্মাদ আলী হুসাইন, মাওলানা হাসানুর রহমান এজাজী, মাওলানা কামাল উদ্দিন আল মাহমুদ, প্রভাষক আশরাফ আলী ফারুকী, মাওলানা এনামুল হক ফয়েজি, মুফতি মনিরুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন খান, আলহাজ্ব রায়হান উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিকী, মাওঃ নিজাম উদ্দিন মুন্সি, সাইফুর রহমান বাদল, মাওলানা গাজি ইয়াসিন আলী, ফারুক হোসেন, মুফতি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, এইচ এম নাঈম মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন রাহাত প্রমুখ।
সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবু বকর, জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারী আব্দুল আওয়াল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানসহ অনেকেই বক্তৃতা করেন।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ