খুলনা | বৃহস্পতিবার | ৩১ জুলাই ২০২৫ | ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

১৭ বছর পর মোংলা পৌর বিএনপি’র সম্মেলন : সভাপতি জুলফিকার : সম্পাদক মানিক

৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য নেতা-কর্মী মাঠে কাজ করতে উৎসাহী হবে

মোংলা প্রতিনিধি |
১২:৪৮ এ.এম | ৩০ জুলাই ২০২৫


দীর্ঘ ১৭ বছর পর মোংলা পোর্ট পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা ও পৌর বিএনপি। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা করা হয়। পৌর বিএনপি কমিটি গঠনের নির্বাচনে ৬২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। 
সম্মেলনে নতুন এ কমিটিতে পৌর বিএনপি সভাপতি পদে দুই জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছে। তার মধ্যে মোঃ জুলফিকার আলী ৫৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী মোঃ মোয়াজ্জাম হোসেন পেয়েছে ৪৬ ভোট। 
সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে। এখান থেকে মাহবুবুর রহমান মানিক ২১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। আর নিকটতম প্রতিদন্ধী মোঃ এমরান হোসেন পেয়েছে ১৬৬ ভোট। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৯ জন ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তার মধ্য থেকে তালুকদার নাসির উদ্দিন প্রথম এবং দ্বিতীয় মোঃ গোলাম নুর জনি সাংগঠিনক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। পৌর বিএনপি’র নবনির্বাচিত সভাপতি আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহŸায়ক ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদকও ওই কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। আর সাংগঠনিক পদে দুইজন নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছে।
সম্মেলনে প্রথমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে উদ্বোধন করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। আর এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালমি। 
পৌর আহবায় মোঃ জুলফিকার আরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক কামরুল ইসলাম গোরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, জেলা বিএনপি নেতা শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপি’র মহিলা নেত্রী আয়শা সিদ্দিকা মনি, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সমন্বয়ক এম এ সালাম, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোজাফ্ফার আলম, যুগ্ম-আহবায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, শেখ শমশের আলী মোহন, খাঁন মনিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শেখ মোঃ জাকির হোসেন, সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, শেখ শাহেদ আলী রবি, কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, শেখ আব্দুল আলিম খোকন, শেখ হাফিজুর রহমান ও মোংলা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল মান্নান হাওলাদার। জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 
দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে সবার মতামতের ভিত্তিতে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পৌর বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচনের জন্য ভোগ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গঠিত এ কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। 
বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচার আ’লীগ সরকারের কারণে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা রাস্তায় বের হতে পারেনি। মোংলা উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র সম্মেলনও করতে দেয়নি আ’লীগের সন্ত্রাসীরা। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর মামলা-হামলা করে নানা অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। তাদের অত্যাচারে অসংখ্য মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। আশা করি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে। যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের হাত শক্তিশালী করতে সাহায়ক হবে এবং তার ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য এসকল নেতা-কর্মীরা মাঠে কাজ করতে উৎসাহী হবে। এদেশের ১৮ কোটি মানুষের দীর্ঘদিন প্রত্যাশা সুষ্ঠ ও সঠিক ভাবে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপাশী আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালিত হবে এটাই মানুষের আশা। 

্রিন্ট

আরও সংবদ