খুলনা | বুধবার | ০৬ অগাস্ট ২০২৫ | ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

আইনি ভিত্তি না দিলে জুলাই সনদে ‘সই করবে না’ জামায়াত

খবর প্রতিবেদন |
০৬:০০ পি.এম | ৩১ জুলাই ২০২৫


আইনি ভিত্তি না দিলে জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আশা করবো, খুব তাড়াহুড়ো না করে, দুই চারদিন বেশি লাগলেও আলোচনা পূর্ণাঙ্গ করা। আমরা এতো আলোচনা করলাম, সময় দিলাম। সংস্কার হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে তো হলো না। অতীত অভিজ্ঞতায় শপথ ভঙ্গের নজির দেখা গেছে।’

জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘আইনগত ভিত্তি দেওয়ার সুযোগ থাকলে কেন দেওয়া হবে না? তাহলে ভিন্ন মতলব আছে। জনগণকে ধোঁকা দেওয়া হবে। জাতির প্রতি আর কোনো তামাশা করার সুযোগ দেবো না। আইনগত ভিত্তি না দেওয়া হলে প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ চেয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আইনি ভিত্তি না দিলে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে না জামায়াত।’

রাষ্ট্র সংস্কারের নানা প্রস্তাব নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই আলোচনায় যে সব প্রস্তাবে সবগুলো রাজনৈতিক দল একমত হবে, সেগুলো নিয়ে ঘোষণা করার কথা জুলাই সনদ। এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও বেশ কিছু বিষয়ে এখনও দ্বিমত দেখা যাচ্ছে।

আবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়েও দলগুলোর ভিন্ন মত আছে। গত বুধবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই সনদ ২ বছর সময় নিয়ে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে, আমরা সেটা চাই না। সই করার সঙ্গে সঙ্গে এর বাস্তবায়ন চাই। জুলাই ঘোষণাপত্র সরকার একটি দিয়েছে, তবে সেটা পূর্ণাঙ্গ না। আমরা এর সাংবিধানিক ভিত্তি চাই।’

এক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান হলো, এই সনদ বাস্তবায়ন করবে জাতীয় সংসদ। বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে শতভাগ একমত বিএনপি।  দু-একটি জায়গায় শব্দগত পরিবর্তনের প্রয়োজন। সবার সইসহ একটি সনদ তৈরি হবে, সেটা সবাই জানবে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবে সংসদের মাধ্যমে। এটাকে ধোঁকা দেওয়ার সাহস কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।’  

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘চারটি সংস্থার নিয়োগে বিএনপিসহ ৪–৫ টি দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। উচ্চ কক্ষের পক্ষে বেশিরভাগ দল একমত। তবে পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত আছে। জামায়াত নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চায়।’

্রিন্ট

আরও সংবদ