খুলনা | বুধবার | ০৬ অগাস্ট ২০২৫ | ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রভাবশালীদের দখলে ডুমুরিয়ার প্রবাহমান কালিতলা খাল : গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা

মাহবুবুর রহমান, ডুমুরিয়া |
০২:১২ এ.এম | ০১ অগাস্ট ২০২৫


ডুমুরিয়ায় গুটুদিয়া ইউনিয়নে প্রবাহমান কালিতলা সরকারি খালের উপর গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা! এ যেন দেখার নেই কেউ। ফলে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি আটকে পড়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে যাচ্ছে বিলপাবলা এলাকা। আশু এ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে দ্রুত খাল পুনঃখননের দাবি এলাকাবাসীর। 
সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের রাজবাঁধ এলাকা থেকে মোস্তফার মোড় অভিমুখী প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের কালিতলা খালটি বর্তমান আবাসিক ব্যবসায়ীদের করাল গ্রাসে বিলীন হতে যাচ্ছে। এ খাল দিয়ে বিলপাবলা মৌজার পানি রায়ের মহল স্লুইস গেট হয়ে ময়ূর নদী দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। গত কয়েক বছর ধরে খালটি দখলের মহোৎসব শুরু হয়েছে। প্রায় ৩৫ থেকে ৪৫ ফুট প্রস্থ খালটি বর্তমানে ছোট নালায় পরিণত হয়েছে। কোথাও ১০ ফুট, কোথাও ৭ ফুট বা কোথাও তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খাল ভরাট করে আবাসিক এলাকার রাস্তা, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায় না। অদৃশ্য শক্তির বলে আবাসিক ব্যবসায়ীদের খাল দখলের মহোৎসব অব্যাহত রয়েছে। পানি নিষ্কাশনে বাধা হওয়ায় প্রতিবছর বৃষ্টির মৌসুমে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ছে বিলপাবলা মৌজার খয়রাতলা, ভাঙ্গাড়িভিটা, বিলপাবলা মুসলমানপাড়া, ফলইমারিসহ বটিয়াঘাটা উপজেলার রাজবাঁধ ও আলাইপুর এলাকা। এ এলাকায় ২০ হাজারের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কালিতলা খালটি সম্পূর্ণ প্রভাবশালীদের দখলে। খাল ভরাট করে তারা আবাসিক এলাকার রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। যার কারণে বৃষ্টি মৌসুমে এ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা শুরু হয়েছে। 
গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (সাবেক) শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন জানান, বিভিন্ন ল্যান্ড ব্যবসায়ীদের দখলে থাকার কারণে কালিতলা খালের অস্তিত্ব কোথাও আছে, কোথাও নেই। ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনা। প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার কারণে তিনি বিপাকে পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন।    
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, স্থানীয় জমি ব্যবসায়ী ও কিছু প্রভাবশালী লোকজন কালিতলা খাল দখলের চেষ্টা করেছে, এটা আমাদের নলেজে আছে। ওই এলাকায় ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। জলাবদ্ধতার বিষয়ে নিয়ে তিনি বলেছেন, শলুয়া এলাকায় স্লুইস গেটগুলো আংশিক খুলে দেয়া হয়েছে। সেখান দিয়ে পানি সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ