খুলনা | বুধবার | ০৬ অগাস্ট ২০২৫ | ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

জেলা প্রশাসনকে জিয়াউর রহমান পাপুল

নগরীর প্রবেশদ্বার গল্লামারী ব্রিজের প্রতি গুরুত্ব দিন

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:১৭ এ.এম | ০১ অগাস্ট ২০২৫


খুলনা জেলার সুন্দরবন ঘেঁষা একাধিক উপজেলা ও পৌরসভাসহ বাগেরহাট সাতক্ষীরা’র জনসাধারণ বিভাগীয় সদর খুলনায় আসার একমাত্র জনপদ গল্লামারী
সড়ক। তেমনি নগরীতে ঢুকতে গল্লামারী ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় দু’পাশের সড়কের বেহাল দশা তেমনি যানজটে অতিষ্ঠ সকল শ্রেণির জনসাধারণ। গল্ল¬ামারী ব্রিজ কে কেন্দ্র করে জনভোগান্তি চরম পর্যায়ে। 
এ বিষয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা জিয়াউর রহমান পাপুল বলেন, নগরীর প্রবেশদ্বার গল্লামারী ব্রিজের ট্রাফিক জ্যামে জনজীবন ব্যাপক বিঘœ হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এত বেশি মানুষের নিয়মিত জনসমাগম বোধ করি পুরো খুলনা অঞ্চলের আর কোন প্রতিষ্ঠানে হয় না। নয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ, পাঁচ শতাধিক শিক্ষকবৃন্দ, এক হাজারের বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে খুলনার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। এছাড়াও হল রোড, বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট সংলগ্ন আবাসিক এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের বসতি। বলা বাহুল্য, এই সকল মানুষকেই দৈনিক একাধিকবার গল্লামারী এলাকা পার হয়ে নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গণে, কর্মস্থল পরবর্তীতে নিজ বাসায় ফিরতে হয়।
বেশ কয়েক বছর থেকে খুলনার গল্লামারী অঞ্চলে যানজটের মাত্রা নাগরিক জনদুর্ভোগকে দূর্বিসহ করে তুলছে। বর্ষা-কাঁদায় এই ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অর্ধেক ব্রিজ দিয়ে পুরোটা ট্রাফিক চলাচল এর অন্যতম কারণ হলেও ব্যবস্থাপনাজনিত কিছু সংস্কার করলেই জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
সংশ্লি¬ষ্টদের বিবেচনার জন্য গল্লামারী ব্রিজের যে একটিমাত্র পাশ চলাচলের জন্য খোলা রয়েছে, সেপাশে সকল ধরনের দোকান, হকার, পণ্য বেচাকেনা বন্ধ করা আবশ্যক। প্রয়োজনে তাদেরকে জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে ফিসারিজের গেট পর্যন্ত সুবিধাজনক ভাবে বসানো যেতে পারে। ফিসারিজের গেটের পর থেকে গল্লামারী পার হয়ে সোনাডাঙ্গার দিকে সামান্য এগিয়ে ওয়ালটনের শো-রুম পর্যন্ত পথচারীদের জন্য রেলিং বা ব্যারিকেড দেওয়া প্রয়োজন, যেন এই রেঞ্জের মধ্যে ইজিবাইক বা অন্যান্য যানবাহন যাত্রী ওঠা-নামা না করান, বা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত পার হয়ে যান। পেট্রোল পাম্পের উল্টোদিকে ইজিবাইক ও রিকশার স্ট্যান্ড হতে পারে। 
নিরসনযোগ্য সমস্যাসমূহ ঠিক গল্লামারী পয়েন্ট থেকে কাক্সিক্ষত যানবাহন পেতে যাত্রীদের সামান্য হেঁটে পেট্রোল পাম্পের উল্টোপাশে আসা, অথবা ব্রিজটি হেঁটে পার হওয়া, যা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য খুব কষ্টসাধ্য নয়। শিশু, বয়স্ক, অসুস্থ ও অন্যান্য ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রের জন্য বিবেচনা করার ব্যবস্থা রাখা ভাল। প্রান্তিক বিক্রেতা যারা গল্লামারীতে তাদের পণ্য বিপনন করেন, তারা একটু সরে এসে খুবির শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ থেকে সামান্য দূর থেকে ফিসারিজ গেট পর্যন্ত ফুটপাথ ও রাস্তার মাঝের জায়গা টুকুতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। বটিয়াঘাটা, চালনা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, কয়রা ও সাতক্ষীরাগামী বাসের যাত্রীগণ কষ্ট করে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বা জিরো পয়েন্ট বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। গল্লামারী ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ হাওয়া পর্যন্ত সকলের কল্যাণার্থে এটুকু ত্যাগ আমরা স্বীকার করতেই পারি। হাজার হাজার মানুষের নিত্যদিনের দুর্ভোগ এড়াতে সামান্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ ও আমাদের সদিচ্ছায় গল্লামারী সংকটকে নিরসন করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

্রিন্ট

আরও সংবদ